গোবলয়ে তুলনায় কম ভোটের হার, বাংলায় কমল ভোটের হার

দুই দফার পর সব থেকে বেশি ভোট পড়েছে ত্রিপুরায়। দুই দফায় ৮১.৪৮ ও ৮০.৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে দুই দফায়। পিছিয়ে নেই হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুর

প্রথম দুই দফার ভোট পড়ার হার অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত গো বলয় রাজ্যগুলিতে ভোটের হার কম। তুলনায় অনেকটা বেশি পূর্বের রাজ্যগুলিতে। তবে সামগ্রিকভাবে কমিশন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রমুখি করার প্রভূত চেষ্টা করলেও ভোটের হারে তার প্রতিফলন নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কমেছে ভোটের হার। বাংলার এপর্যন্ত ভোট হওয়া ছয় কেন্দ্রেও ২০১৯ থেকে ভোট কমেছে।

বাংলার দুই দফায় ভোট হওয়া কেন্দ্রগুলির ভোটের হার:

কোচবিহার – ৮২.১৬

আলিপুরদুয়ার – ৭৯.৭৬

জলপাইগুড়ি – ৮৩.৬৬

দার্জিলিং – ৭৪.৭৬

রায়গঞ্জ – ৭৬.৮

বালুরঘাট – ৭৯.০৯

এই কেন্দ্রগুলিতে গত লোকসভা নির্বাচনে ভোটের হার ছিল বেশি। কোচবিহারে ছিল ৮৪.০৮, আলিপুরদুয়ারে ৮৩.৭৯, জলপাইগুড়িতে ৮৬.৫১। দ্বিতীয় দফার কেন্দ্রগুলিতে আরও কম। দার্জিলিংয়ে ছিল ৭৮.৮০, রায়গঞ্জে ৭৯.৮২ ও বালুরঘাটে ৮৩.৬৯। স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতিকরা প্রশ্ন তুলছেন কীভাবে ভোটের হার কমার মধ্যেও কীভাবে এত সামঞ্জস্য। ভোট সর্বত্রই কমেছে এবং তার হারও প্রায় সমান।

দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেই ভোট সম্পূর্ণ হয়নি। দুই দফার পর সব থেকে বেশি ভোট পড়েছে ত্রিপুরায়। দুই দফায় ৮১.৪৮ ও ৮০.৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে দুই দফায়। পিছিয়ে নেই হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুর। দুই দফায় ভোটের হার ৭৬.১০ ও ৮৪.৮৫। তবে অনেকটাই ভোটের হার কম মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থানে। কোথাও ভোটের হার ৭০ শতাংশ পার হয়নি। যদিও চার রাজ্যেই ভোট এখনও কয়েক দফাতেই হবে। এর মধ্যে রাজনৈতিক উত্তাপে থাকা বেশ কিছু কেন্দ্র রয়েছে।

Previous articleবিমানবন্দর এলাকায় লেজার লাইট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, জারি নজরদারি
Next articleমেয়েদের প্রিমিয়ার লিগের পিচ তৈরি করে ভারতীয় ক্রিকেটে ইতিহাস তৈরি করেছেন জেসিন্থা কল্যাণ