উদ্ধত্যের সীমা ছাড়ালেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়!কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি

মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করার জেরে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ২৪ ঘণ্টার জন্য সেন্সর করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামিকাল, বুধবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও বিষয় মুখ খুলতে পারবেন না অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু কমিশনের এমন নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ তমলুকের বিজেপি প্রার্থী।

কিন্তু উদ্ধত্যের সীমা ছাড়ালেন অহঙ্কারী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইগো-সেন্টিমেন্টের অসুখে ভোগা প্রাক্তন বিচারপতি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, কমিশনের এই নির্দেশে তাঁর নাকি মানহানি হয়েছে। কমিশনের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।

তমলুকের দাম্ভিক বিজেপি প্রার্থী হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “আমি কমিশনকে জবাব দিতে গিয়ে বলেছিলাম, যদি কোনও পদক্ষেপ করা হয়, তার আগে যেন অতিরিক্ত জবাব (সাপ্লিমেন্টরি রিপ্লাই) দেওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু কোনও সুযোগ না দিয়েই কমিশন এই নির্দেশ দিয়েছে। অন্য লোকের মান আছে, আমার মান নেই, তা তো হতে পারে না! দরকারে কমিশনের এই নির্দেশ খারিজ করার আর্জি জানিয়ে আমি আদালতে যাব।”

সম্প্রতি হলদিয়ায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের করা একটি বক্তৃতার ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে বিজেপি প্রার্থীকে
বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তুমি কত টাকায় বিক্রি হও? কেন তোমার দাম ১০ লক্ষ টাকা? তুমি কেয়া শেঠকে দিয়ে মুখে মেকআপ করাও বলে?” এই ভিডিওকে হাতিয়ার করে কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল কংগ্রেস।এরপর অভিজিৎকে গত ১৭ মে শো-কজ নোটিশ পাঠিয়েছিল কমিশন। জানিয়েছিল, বিজেপি প্রার্থী জবাব না-দিলে একতরফা পদক্ষেপ করা হবে। ২০ মে, সোমবার কমিশনকে জবাব দেন অভিজিৎ। কিন্তু তাঁর জবাব সন্তুষ্ট করতে পারেনি কমিশনকে। এরপর আজ, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য অভিজিতের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কমিশনের তরফে।

কমিশন মনে করেছে, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কমিশন জানিয়েছে, ভারতীয় সমাজে এবং সংবিধানে মহিলাদের বিশেষ স্থান রয়েছে। তাঁদের সম্মানের চোখে দেখা হয়। সে কারণে, এক জন মহিলার সম্মানরক্ষার জন্য সব সময় সচেষ্ট রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। দেশের নির্বাচনে মহিলাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিরও চেষ্টা করছে কমিশন। নির্বাচনের সময় যাতে কোনও মহিলা অপমানিত না হন, সে দিকেও নজর রয়েছে তাদের। আর এই আবহেই তাদের মনে হয়েছে, অভিজিৎ যে মন্তব্য করেছেন, তা ‘ভারতের এক জন মহিলার মর্যাদাহানি’ করছে। বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্যকে ‘নিন্দনীয়’ বলেও জানিয়েছে কমিশন।

আরও পড়ুন- হামলা চালালো কারা? পুলিশকে খোঁজার নির্দেশ দিয়ে রেখাকে রক্ষাকবচ আদালতের

Previous articleহামলা চালালো কারা? রেখা পাত্রর মামলায় পুলিশকে খোঁজার নির্দেশ আদালতের
Next articleপ্রধানমন্ত্রীর ২০ হাজার কোটির বাড়ি বিক্রি করেই মানুষের টাকা শোধ: অভিষেক