নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দেশজোড়া ক্ষোভে রাশ টানতে আসরে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে একদিকে বলেছেন, এই আইনে কারুর নাগরিকত্ব যাবে না। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। অন্যদিকে জানিয়েছেন, সারা দেশে এনআরসি চালুর কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি তাঁর সরকার। জোড়া বিতর্কিত ইস্যুতে সরকারের বক্তব্য জানানোর পর বুধবার উত্তরপ্রদেশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশেও বার্তা দিলেন। বললেন, যারা ভাঙচুর করলেন তারা কি কাজটা ঠিক করলেন? নিজেরাই বাড়িতে বসে ভেবে দেখুন। যারা বাস ভাঙচুর করলেন, আগুন ধরালেন, রেলের ক্ষতি ও আরও অনেক সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলেন তারা কি দেশের মানুষেরই ক্ষতি করলেন না? এগুলো তো ভবিষ্যত প্রজন্ম ও দেশের মানুষেরই। এটাই কি প্রতিবাদ জানানোর সঠিক পথ?

বুধবার অটলবিহারী বাজপেয়ির জন্মদিন উপলক্ষে লখনউতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নামে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে প্রতিবাদের নামে তাণ্ডবের নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের প্রত্যেক মানুষেরই নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার আছে। সবাই যাতে নিরাপদ থাকতে পারে সেজন্যই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা জরুরি। স্বাধীনতার পর থেকে আমরা শুধু দেশের কাছে দাবি জানিয়েই এসেছি। এখন থেকে দেশের প্রতি কর্তব্য পালন করতেও শিখতে হবে।