এনপিআর বা ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার নিয়ে এখন আলোচনার সর্বত্র। কিন্তু এই এনপিআর কী? আসুন এক ঝলকে দেখে নিই।

এনপিআর কী?
এনপিআর হলো দেশের নাগরিকদের সার্বিক পরিচয়ের তথ্য ভান্ডার। কোনও ব্যক্তি কোনও এলাকায় ৬মাস থাকলে এবং পরবর্তী ৬মাস যদি সেখানে থাকেন, তাহলে তাঁর তথ্য নেওয়া হবে। বিদেশিরাও এর আওতায় আসবেন। অসম এনপিআর-এর আওতায় থাকবে না। স্বেচ্ছায় নাগরিকরা যে তথ্য দেবেন তা নেওয়া হবে। এতে কোনও নথি লাগবে না। এই তথ্য সংগ্রহ কাজ আগামী বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। খরচ ৩৯৪১কোটি টাকা। ২০১১ সালে জনগণনার সময় এনপিআর তৈরি হয়। ২০১৫ সালে পরিমার্জন করা হয়।

এনপিআর আর এনআরসির পার্থক্য কী?
কেন্দ্রের বক্তব্য, এনপিআর দিয়ে কে দেশের নাগরিক তা জানা যাবে না। তার জন্যই এনআরসি। প্রশ্ন, তাহলে এনপিআর-এর প্রয়োজনীয়তা কি?
এনপিআর-এ যে তথ্য দিতে হবে —
নাম, হেড অফ দি ফ্যামিলির সঙ্গে সম্পর্ক, বাবার নাম, মায়ের নাম, লিঙ্গ, বিবাহিত কিনা, বিবাহিত হলে স্বামী বা স্ত্রীর নাম, জন্মস্থান, জন্ম তারিখ, নাগরিকত্ব, ঠিকানা, কতদিন ধরে বসবাস, স্থায়ী ঠিকানা, জীবিকা, শিক্ষাগত যোগ্যতা।

এছাড়াও যা চাওয়া হতে পারে —
বাবা-মায়ের জন্মস্থান, বাবা-মায়ের জন্ম তারিখ। আর ঐচ্ছিক হলো, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড। এছাড়া মোবাইল নম্বর, বাড়ির আয়তন এবং কোনও গৃহপালিত পশু আছে কি না তা চাওয়া হতে পারে।
প্রকাশ জাভড়েকর বলছেন, এনপিআর-এ বায়োমেট্রিক প্রমাণ দিতে হবে না। আধারও লাগবে না। যদিও অমিত শাহের বক্তব্য, আধার থাকলে কেন দেবেন না!
