“বিপ্লব” আপাতত স্থগিত রাখলেন তিনি!

দিনকয়েক আগে রামলীলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, “দেশে NRC হওয়া নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি”৷ তার পরের দিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও সমর্থন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ওই কথা৷ ফলে এগোনোর পথ রুদ্ধ৷
তাই ব্যাকফুটে যেতে বাধ্য হলেন বঙ্গ-বিজেপির ‘লড়াকু’ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ ডিগবাজি খেয়ে জানালেন, ” NRC কবে হবে, ভবিষ্যতে দেখা যাবে৷’ অথচ এই দিলীপবাবুই গত কয়েকমাস যাবৎ সমানে বলে চলেছিলেন বাংলায় NRC হবেই”৷ বুধবার জলপাইগুড়িতে এক কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট জানালেন, “NRC দেশে কখন হবে, সেটা এখনও ঠিক করা হয়নি”। খোদ রাজ্য সভাপতির এই বক্তব্যের পরে NRC নিয়ে রাজ্য বিজেপির অবস্থান অস্বচ্ছ হয়ে পড়লো৷ প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বিজেপি পিছু হটছে ? সে কারনেই কি জলপাইগুড়িতে দিলীপবাবু বলেছেন, ‘সারা দেশে NRC কবে হবে, কী হবে, তা ভবিষ্যতে দেখা যাবে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কারণেই অসমে NRC কার্যকর হয়েছে। পরে যদি মনে হয় সারা দেশে NRC দরকার তাহলে সরকার সেটা ভেবে দেখবে।’”

এখানেই শেষ নয়৷ জলপাইগুড়ির পর রায়গঞ্জের এক সভায় দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘”কেন্দ্রীয় সরকার বুথ চালু করবে। সেই বুথে এসে আপনার নাম, ঠিকানা, বাবার নাম, আপনি কোথা থেকে এসেছেন এই ক’টা তথ্য দিলেই আপনি ভারতের নাগরিক হয়ে যাবেন। কোনও ভোটার কার্ড বা রেশন কার্ড লাগবে না।’”
দিলীপ ঘোষের এই ঢোক গেলায় স্পষ্ট হয়েছে, NRC-CAA নিয়ে কতখানি চাপে আছে মোদি-শাহ তথা বিজেপি৷ এমনই বলছে রাজনৈতিক মহল৷

প্রসঙ্গত ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘2024 সালের মধ্যেই গোটা ভারতে NRC নিয়ে আসা হবে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে তাড়ানো হবে।’”

আগত রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদি বলে দিয়েছেন, ‘”আমি দেশের 130 কোটি ভারতবাসীকে জানাতে চাই, 2014 সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর এখনও পর্যন্ত কোথাও কখনও NRC নিয়ে আলোচনা হয়নি।’ অমিত শাহও বলতে বাধ্য হয়েছেন, ‘”মোদিজিই ঠিক৷ NRC নিয়ে মন্ত্রিসভায় কোনও আলোচনা হয়নি।’”

এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ‘পাল্টি’-র পর ওই দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে, “NRC যদি অনিশ্চিতই হয়, তাহলে এর পক্ষে এখনও আন্দোলন চালানো হচ্ছে কেন ? এতো এক ধরনের ভণ্ডামি৷
