আইসিসির চারদিনের টেস্টের প্রস্তাবে বিরাধিতার সুর ক্রমশ চড়ছে

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে ঢেলে সাজাচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ঠিক সেই সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে নয়া পরিবর্তনের ঘোষণায় সদস্য দেশগুলি একটু অবাক। আইসিসি জানাচ্ছে, তাদের ভাবনা, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেস্টগুলি তারা চারদিনের বদলে তিন দিনে করবে। তবে এখনই নয়, ২০২৩ থেকে। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, বছরভর ঠাসা ক্রীড়াসূচি থেকে তাহলে হয়তো বেশ কিছুটা সময় বের করা যাবে। বোর্ড সভাপতি সৌরভ বলেছেন, পুরো বিষয়টি আমি এখনও জানি না। জানার পর মন্তব্য করতে পারব।

আইসিসি চার দিনের টেস্ট নিয়ে কয়েক দফা যুক্তি দিয়েছে।

১. সময় পাওয়া গেলে আরও বেশি প্রতিযোগিতার সময় পাওয়া যাবে।

২. টি-২০ ম্যাচের কদর বাড়ছে। তার জন্য সময় বের করা সম্ভব হবে।

৩. পাঁচ দিনের চাইতে চার দিনের ম্যাচের খরচ কম।

৪. ভারতীয় বোর্ডের দাবি ছিল আরও বেশি টেস্ট সিরিজ খেলার। এর ফলে সম্ভব হবে।

৫. আইসিসির তরফে হিসাব দিয়ে বলা হয়েছে, ২০১৫-২০২৩ পর্যন্ত যদি হিসাব ধরা হয়, আর এই সময়ে যদি চারদিনের টেস্ট খেলা হতো তাহলে ৩৩৫দিন ফাঁকা পাওয়া যেত। তবে চারদিনের টেস্ট সাম্প্রতিক অতীতেই খেলা হয়েছে। ২০১৯-এ ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড, এবং ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা-জিম্বাবোয়ের ম্যাচ। কিন্তু এখনও যারা ঐতিহ্যশালী টেস্ট ক্রিকেটের পক্ষে, তাঁরা নিশ্চিতভাবে চারদিনের টেস্টের বিপক্ষে। এই মুহূর্তে স্পোর্টিং উইকেটের কারণে টেস্ট ক্রিকেট আর এক ঘেয়ে নেই। উত্তেজক হয়েছে। প্রায় প্রত্যেকটি সিরিজেরই ফয়সালা হচ্ছে। তাহলে কেন এই পথ নিতে হবে। অতীতের সব কিছু বদলে দেওয়ার নীতি পরিহার করতে হবে কোন কারণে? অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের অনেকে ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। ভারতের বেশ কিছু প্রাক্তন তারকা মদনলাল, রজার বিন্নি কার্যত পাঁচ দিনের ম্যাচের পক্ষেই সওয়াল করেছেন। ফলে আইসিসির টেস্টের ধাঁচা বদলে ফেলা যে সহজ হবে না, তা বলাই বাহুল্য।

আরও পড়ুন-খোয়া গেল বিনয় মজুমদারের সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার

 

Previous articleসুপার সিরিজ নিয়ে সৌরভের চিন্তাভাবনার সঙ্গে একমত নন দু’ প্লেসি
Next articleবছরের শেষে ভূমিকম্পে চার বার কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর