মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে গঙ্গাসাগর মেলায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হতে এখনও সপ্তাহ খানেক দেরি আছে। কিন্তু 6 তারিখ সেখানে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে প্রস্তুতি দেখতে শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন এবং সুন্দরবন জেলার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন। মেলায় শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে পুরোদমে।

দুর্ঘটনা মুক্ত গঙ্গাসাগর মেলা করাই প্রশাসনের মূল লক্ষ্য। কচুবেড়িয়া থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ৩৪ কিমি রাস্তার দু’পাশে ও মাঝখানে সাদা দাগ টানা হয়েছে। স্প্রিড ব্রেকার যেখানে লেগেছে হলুদ রঙের ফাইবারের আই-নোটিস। রাতের অন্ধকারে যা আলো পড়লে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। এছাড়া বেসরকারি বাসে জিপিআরএস সিস্টেম বসানো হয়েছে।


কে-ওয়ান বাসস্ট্যান্ডের কাছে পূর্ণার্থীদের জন্য বিস্তৃর্ণ এলাকা ছাউনি তৈরির কাজ চলছে।
মেলায় হোগলা পাতার ছাউনি গুলিতে অগ্নি নিরোধক কেমিক্যাল স্প্রে করা হচ্ছে। সাগরতট ও মেলার মাঠ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সাগর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সাগর পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক অফিস একাধিক বন্দবস্ত করেছে।
ইতিমধ্যে মেলায় আসতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা। 8 নম্বর লট সহ বিভিন্ন জেটিতে ভিড় জমছে। যাত্রীদের সুরক্ষার জন্যে মুড়িগঙ্গা নদীতে সরকারি স্পিডবোটে রাখা রয়েছে। জলপথে নজরদারি চলছে। পাঁচ নম্বর রাস্তার কাছে রয়েছে হেলিপ্যাড। এ বছর দুটি হেলিকপ্টার থাকছে। অসুস্থ মানুষের জন্য একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া মানুষদের খোঁজে মোট সাতটি ভাষায় মাইকিং করা হবে বলে। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে মেলা চত্বরে। চলবে ড্রোনের সাহায্যে নজরদারিও।
কুম্ভমেলা না থাকায় এবার গঙ্গাসাগরে ৪০ লক্ষের বেশি মানুষের সমাগম হবে বলে আশা কপিলমুনি আশ্রমের প্রধানের।

Previous articleআইন বাতিল করান, মমতাকে চিঠি বিজয়নের
Next articleরেলবোর্ডের ফতোয়া, ধর্মঘটে যোগ দিলে বা প্রচার করলেই শাস্তি