মঙ্গলবার রাত৷

JNU-র সবরমতী টি-স্টলের সামনে তখন বক্তব্য রাখছেন কানহাইয়া কুমার৷ মুগ্ধ করা বক্তব্য আর তাঁরই ব্র্যাণ্ডেড আজাদি’ স্লোগানে তখন সর্বভারতীয় মিডিয়ার সব আলো একাই টেনে নিয়েছেন কানহাইয়া৷

ততক্ষণে ক্যাম্পাসে পৌঁছে গিয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন৷ খবরটি ছড়িয়ে পড়া মাত্রই দেশ জুড়ে পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল বিতর্ক৷ মুহূর্তেই সে খবর পৌঁছে গেলো পাশে দাঁড়ানো দীপিকার সহকারির ফোনে৷ তিনি কিছু বললেনও দীপিকার কানে৷

কিন্তু দীপিকা দাঁড়িয়েই রইলেন পড়ুয়াদের পাশে, পড়ুয়াদের মাঝে৷ চুপটি করে, মাথা নিচু করে। একমনে শুনছেন কানহাইয়া’র বক্তব্য৷ এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বক্তা কানহাইয়া’র গোটা বক্তব্যই দীপিকা শুনলেন৷ এর পর দেখা করলেন মাথায়-হাতে ব্যাণ্ডজ জড়ানো JNU ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষের সঙ্গেও৷ কথাও হলো দু’জনের মধ্যে৷ কানহাইয়া’র সামনে দলে দলে JNU-পড়ুয়া বাহিনি৷ প্রাক্তনীও তাদের সঙ্গে কথা বলেই চলেছেন৷ দেখতে পেলেন না দীপিকাকে৷ তখনও কানহাইয়া জানেন না এদিন তাঁর শ্রোতাদের মধ্যেই দাঁড়িয়ে ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোনও৷
পরে কানহাইয়া সেকথা সংবাদ সংস্থাকেও জানিয়েছেন, “উনি এসেছিলেন? আমি দেখতে পাইনি, আমার সঙ্গে কোনওরকম কথাও হয়নি !”


ওদিকে দীপিকার JNU- যাওয়া নিয়ে একদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসার ঝড়, অন্যদিকে মোটেই খুশি নন দেশের গেরুয়া শিবির৷ উল্টে ওই শিবিরের কেউ কেউ দীপিকার আসন্ন ছবি ‘ছপ্পক’ বয়কটের ডাকও দিয়েছেন৷ দীপিকার JNU যাওয়া নিয়ে বিভক্ত হয়েছে বলিউডও ।


বেশ খুশি হয়েছেন কানহাইয়াও৷ পরে ট্যুইট করে দীপিকা পাড়ুকোনকে ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি তিনি৷ ট্যুইটারে কানহাইয়া লিখলেন, “পড়ুয়াদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ৷ JNU-তে আসার জন্য হয়তো তুমি ট্রোলড হবে, অসম্মানিত হবে, তবে ইতিহাস তোমায় মনে রাখবে, তোমার সাহস আর তোমার বিচক্ষণতার জন্য।”

More power to you @deepikapadukone and thank you for your solidarity and support. You might be abused or trolled today, but history will remember you for your courage and standing by the idea of India. pic.twitter.com/q9WkXODchL
— Kanhaiya Kumar (@kanhaiyakumar) January 7, 2020