‘’JNU-কে শত্রু বানিয়ে সরকার নির্বোধের কাজ করেছে”, কানহাইয়া-র কটাক্ষ

JNU-হামলার প্রেক্ষিতে এবার সরব হলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া কুমার৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের এক বৈঠকে মিলিত হয়ে কানহাইয়া বলেছেন, “আমরা সংবিধান রক্ষা করতে চাই। আর যদি কেউ জাতীয়তাবিরোধী হয়ে থাকে, তাহলে সে হল কেন্দ্রীয় সরকার, যারা সংবিধানকেই ধ্বংস করতে চাইছে।”
কানহাইয়া বলেছেন, “JNU এমন ইস্যুর বিরুদ্ধেও বারবার কথা বলেছে, যা প্রকাশ্যেও আসেনি। সরকার বড় ভুল করেছে, বুদ্ধিহীনের কাজ করেছে। তারা জেনেবুঝে এমন এক শত্রু বেছেছে যারা বুদ্ধিমান ও মেধাবী”৷
তিনি বলেন, ‘‘JNU-এর প্রতি ঘৃণা শুধুমাত্র কোনও বিশ্ববিদ্যালয় বা আদর্শের প্রতি ঘৃণা নয়। এই ঘৃণা আসলে দেশ কেমন হওয়া উচিত সেই চিন্তার প্রতি৷ JNU-এর ৪০ শতাংশ পড়ুয়াই আদিবাসী বা দরিদ্র পরিবারের। সরকার. ভেবে দেখুক কাদের শত্রু বানাচ্ছে৷”

JNU-র এই প্রাক্তনী বলেন, “আমাকে ‘’টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর নেতা বলা হয় বলে আমি গর্বিত। JNU-তে যে থাকবেন, তাঁকেই তো বামপন্থী বলা হয়।”
প্রসঙ্গত, দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করার সময় বাম ও বাম সমর্থিত দলগুলিকে ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ বলে ডাকে।

রবিবার সন্ধ্যায় JNU-তে মুখোশধারীর দল হাম‌লা চালায় পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের উপর। লোহার রড, লাঠি নিয়ে তারা চড়াও হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা তারা তাণ্ডব চালায়। ঘটনায় আহত হন ৩৪ জন। FIR দায়ের করলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

আরও পড়ুন-অমর্ত্যর সাফ কথা, এখনই সুপ্রিম কোর্টের উচিত সিএএ বাতিল করা

Previous articleঅমর্ত্যর সাফ কথা, এখনই সুপ্রিম কোর্টের উচিত সিএএ বাতিল করা
Next articleধর্মঘট থেকে মুখ ফেরালেন সরকারি কর্মীরা, দফতরগুলিতে উপস্থিতির হার ৯৫ শতাংশ