#Me too : অরিন্দম শীলকে কাঠগড়ায় তুললেন রূপাঞ্জনা

#Me too -তে নাম জড়ালো টলিউডের। বিখ্যাত পরিচালকের বিরুদ্ধে অশালীন প্রস্তাব এবং ইঙ্গিত দেওয়ার অভিযোগ তুললেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। ‘আনন্দলোক’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘ভূমিকন্যা’-র স্ক্রিপ্ট শোনানোর নাম করে তাঁকে অফিসে ডেকে পাঠান পরিচালক- অভিনেতা অরিন্দম শীল। রূপাঞ্জনা যখন তাঁর অফিসে যান, তখন সেখানে কেউই ছিলেন না। অভিনেত্রীর অভিযোগ, তাঁকে একা পেয়ে তার সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করেন অরিন্দম। শুধু তাই নয়, তাঁকে ‘indecent proposal’ দেন পরিচালক। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান রূপাঞ্জনা। সেই মুহূর্তেই তিনি সেখান থেকে চলে আসেন। এবং সেই সময় সেখানে পৌঁছে যান অরিন্দম শীলের স্ত্রীও। অভিযোগ, এই কারণেই ফটোশুট হওয়ার পরেও, তাঁকে ‘ভূমিকন্যা’-র পোস্টার থেকে বাদ দিয়ে দেন পরিচালক। তবে সেই সময় চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কারণে এ বিষয়ে মুখ খুলতে পারেননি রূপাঞ্জনা।

‘আনন্দলোক’-এ এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই টলিউড জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে এই খবরকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে অরিন্দম শীল শিবির। তারা জানিয়েছে, নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে রাখতেই রূপাঞ্জনা এই রাস্তায় হাঁটছেন। যদিও ওই প্রতিবেদনে রূপাঞ্জনা দাবি করেছেন, তাঁর এক বান্ধবীর সঙ্গেও অরিন্দম শীল একই ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু তিনিও কাজ হারানোর ভয়ে এ বিষয়ে মুখ খুলতে পারেননি। এখন প্রশ্ন উঠছে রূপাঞ্জনা বা তাঁর সেই বান্ধবী তাঁরা ছোট এবং বড় পর্দার যথেষ্ট পরিচিত মুখ। তা সত্ত্বেও কেন ঘটার পরেই তাঁরা মিডিয়াকে জানালেন না? হঠাৎ করে এতদিন পরে কেন এই বিষয়ে রুপাঞ্জনা সরব হয়েছেন? অরিন্দম শীলের বন্ধুরা অবশ্য জানাচ্ছেন, এসব বিরোধীদের (পড়ুন বিরোধী শিবিরের) চক্রান্ত। তবে এই ঘটনা টলিউডেও #Me too বিতর্ক উস্কে দিল বলেই মনে করছেন নেটিজেনরা।

Previous articleগঙ্গাসাগরমেলার জন্য সকাল থেকেই চালু সরকারি বাস পরিষেবা
Next articleআকাশ পরিষ্কার হতেই পারদ নামল ৩ ডিগ্রি, জাঁকিয়ে পড়বে শীত