রাহুল কোথায়? তিনি কি এরপর শুধু ট্যুইট করেই কংগ্রেস চালাবেন?

নিজের ছেলে রাহুল গান্ধী ছাড়া কংগ্রেসের সর্বোচ্চ পদটি আর কাউকে দিতে ইচ্ছুক নন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। এটা কংগ্রেসের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা মোটামুটি বুঝেও গেছেন, মেনেও নিয়েছেন। আবার লোকসভা ভোটে দলের বিরাট বিপর্যয় ও আমেথি লোকসভায় লজ্জাজনক হারের পর সভাপতির দায়িত্ব ত্যাগের নাটক করে কংগ্রেসকে প্রভূত বিড়ম্বনায় ফেললেও ফের দলের দায়িত্ব নিতে চান না, এমন কথা বলেলনি রাহুলও। ফলে ধরে নেওয়াই যায়, সাজানো চিত্রনাট্য অনুযায়ী রাহুল গান্ধীকেই অচিরে সভাপতি বানাবেন তাঁর মা সোনিয়া। কংগ্রেসের কোনও নেতারই এর বিরুদ্ধে মত দেওয়ার যোগ্যতাও নেই, সাহসও নেই। বিজেপির এই অভিযোগটা অন্তত একশো ভাগ খাঁটি। কংগ্রেস আপাদমস্তক পরিবারতান্ত্রিক দল, যার মাথায় গান্ধী পরিবারের কোনও না কোনও সদস্য বসবেন এটাই অলিখিত নিয়ম ও ঐতিহ্য।

কিন্তু রাহুলের নামে ও নেতৃত্বে ২০১৪ ও ২০১৯-এর নির্বাচন করে কংগ্রেসের হাল কী হয়েছে গোটা দেশ জানে। একবার ৪৪, একবার ৫২। আমেথিও হাতছাড়া। রাফাল ইস্যুর দফারফা। এরপর অন্যদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে, পদ ছাড়ার নাটক করে রাহুল চলে গেলেন বিদেশে। দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর আড়ালে, বিধানসভা নির্বাচনগুলোতেও কার্যত কোনও ভূমিকাই ছিল না। একবার শোনা গেল তিনি বিদেশে গিয়ে ধ্যান করছেন। আবার ওই একই সময়ে নানা ইস্যুতে রাহুলের ট্যুইট দেখে বিজেপি নেতারা প্রশ্ন তুললেন, এ কেমন ধ্যান যাতে একসঙ্গে রাজনৈতিক ট্যুইটও চলে! রাহুল কবে আসবেন আর কবে যোগ দেবেন তা দেখে তাঁর মা সোনিয়া দিল্লিতে কংগ্রেস সমাবেশের কার্যসূচি ঠিক করলেন। একদিন জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়েই ফের উধাও রাহুল। সংসদে অনিয়মিত, রাজনৈতিক আন্দোলন-কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যায় না, পাওয়া যায় শুধু ট্যুইটারে! নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ বা জেএনইউ কাণ্ড, তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কার দেখা মিললেও অদৃশ্য রাহুল। শুধু মাঝে মাঝে ট্যুইট। এমন অনিয়মিত, কথায় কথায় বিদেশে ঘুরতে যাওয়া, জনসংযোগহীন নেতার হাতে ফের কংগ্রেসের দায়িত্ব তুলে দলের ঠিক কোন উপকারটা করতে চলেছেন সোনিয়া গান্ধী?

আরও পড়ুন-রাজভবন নয়, মোদি রাত কাটাবেন বেলুড় মঠে! প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচিতে হঠাৎ বদল

Previous articleরাজভবন নয়, মোদি রাত কাটাবেন বেলুড় মঠে! প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচিতে হঠাৎ বদল
Next articleবাস দুর্ঘটনা-আগুন, মর্মান্তিক পরিণতি যাত্রীদের