“অর্জুনের তিরে ছিল পরমাণু শক্তি, তাই বিশ্ব ভারতকে ভয় করে”, বোঝালেন ধনকড়

“অর্জুনের তিরে পরমাণু অস্ত্র ছিল। মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট’ও ছিল। রামায়নে ছিল উড়ন্ত যান।”

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, বঙ্গ-বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের দেখানো রাস্তায় এবার হাঁটলেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ সাম্প্রতিক অতীতে বিজ্ঞান নিয়ে একাধিক বার এ ধরনের বিচিত্র মন্তব্য শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতামন্ত্রীদের মুখে। এবার নেতামন্ত্রীদের সঙ্গে একাসনেই বসলেন জগদীপ ধনকড়৷ মঙ্গলবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। সেখানেই তিনি বলেন, মহাভারতের অর্জুনের তিরে পরমাণু অস্ত্র ছিল। শুধু তাই নয়, রামায়নের যুগে ছিল উড়ন্ত যান।
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হঠাৎই তিনি ঢুকে পড়েন রামায়ন, মহাভারতের মধ্যে৷ ওই প্রসঙ্গ তুলে ধনকড় বলেন, “রামায়নের সময় উড়ন্ত যান ছিলো। মহাভারতে এমন এক পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে, যেখানে বহুদূরে থেকে যুদ্ধের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য ধৃতরাষ্ট্রকে জানাচ্ছেন সঞ্জয়। এ সব ইন্টারনেট ছাড়া সম্ভবই নয়৷ এছাড়া অর্জুনের তিরে ছিল পরমাণু অস্ত্রের শক্তি। সেই কারনেই গোটা বিশ্ব ভারতকে অগ্রাহ্য করার সাহস দেখায় না, ভয় করে৷”

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব-ই প্রথম বিজেপি নেতা, যিনি এধরনের ‘বৈজ্ঞানিক’ ব্যাখ্যা দেওয়ার কাজ শুরু করেছিলেন৷ অজস্র ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন৷
একবার বলেছেন মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট ছিল, আর একবার বলেছেন, হাঁস নিঃশ্বাস ছাড়লে জলে অক্সিজেন বাড়ে।কিছুদিন আগে বঙ্গ- বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন, “দেশি গরুর পিঠে কুঁজ রয়েছে। ওই কুঁজে আছে স্বর্ণ নাড়ি। ওখানে যখন সূর্যরশ্মি এসে পড়ে তখন সোনা তৈরি হয় সেখানে৷
এ কারণেই দেশি গরুর দুধ হলদে রঙের হয়, হাল্কা সোনালিও হয়। এর কারণ, ওই দুধে সোনা রয়েছে। কেউ যদি শুধু দেশি গরুর দুধ খান, তাহলে আর কিছু খাওয়ার দরকারই হবে না।’ প্রধানমন্ত্রীর ‘মেঘ ও রাডার’ বিশ্লেষণ তো আছেই৷
আর এদিন ধনকড় সাহেব শ্রোতাদের সমৃদ্ধ করলেন রামায়ন, মহাভারতের নতুন ব্যাখ্যা দিয়ে৷

Previous articleমর্মান্তিক! অপারেশন থিয়েটারেই সদ্যোজাতকে খুবলে খেল কুকুর
Next articleবিস্ফোরক বিজেপি নেতা : গডসে দেশপ্রেমিক, কানহাইয়াকে গুলি করা উচিত!