Sunday, November 16, 2025

বাংলার ফুটবলে রেড লেটার ডে, আরপিজির হাত ধরে মোহনবাগানের নতুন যুগের সূচনা

Date:

১৬জানুয়ারি, ২০২০। বাংলার ফুটবলে রেড লেটার ডে হয়ে থাকবে কিনা ভবিষ্যতই বলবে। কিন্তু ১৩০বছরের মোহনবাগান ক্লাবের হাত ধরে বাংলার ফুটবলে যে আন্তর্জাতিক মাত্রা যোগ হলো, তার ভবিষ্যত আর যাই হোক এগিয়ে যাওয়ার নিশানা উড়িয়ে সামনের দিকেরই পথ দেখাল। বাংলার ফুটবলের আঁতুড়ঘরে আধুনিক ফুটবলের বাতাস প্রবেশ। তার হাত ধরে বাকিদের এগিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা।

বৃহস্পতিবার কলকাতার প্রায় দুই শতাব্দী প্রাচীন সংস্থা আরপিজি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল কলকাতার তিন প্রধানের অন্যতম স্তম্ভ মোহনবাগান। চুক্তি হলো মোহনবাগান ফুটবল ক্লাব অফ ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে আরপিজি সংস্থার। ৮০% শেয়ার আরপিজির, ২০% শেয়ার থাকল মোহনবাগানের। এই আরপিজি সংস্থার হাতেই রয়েছে আইএসএলের অন্যতম সেরা টিম অ্যাটলেটিকো দ্য কলকাতা এবং মোহনবাগান কার্যত এক হয়ে গেল। দুটি ক্লাবের মালিকানাই আপাতত সঞ্জীব গোয়েঙ্কার আরপিজির হাতে, যার প্রতিষ্ঠাতা রমাপ্রসাদ গোয়েঙ্কাও ছিলেন এই ক্লাবের অন্যতম সদস্য। ফলে বাবার আবেগ পুত্র সঞ্জীবের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই প্রভাবিত হয়েছে। যার নিট ফল বৃহস্পতিবারের চুক্তি। এই গাঁটছড়ায় মূল হোতা অবশ্যই মোহনবাগানের দুই তরুণ তুর্কি কর্তা সৃঞ্জয় বোস এবং দেবাশিস দত্ত। দুই ক্লাব মিশে যাওয়ার পর বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। যে প্রশ্নের সমাধান করেছেন সৃঞ্জয় নিজেই…

১. জার্সির রঙ মোহনবাগানের চোখের মণি সবুজ-মেরুণই থাকছে।

২. আদি-অকৃত্রিম পাল তোলা নৌকাও থাকছে স্বমহিমায়।

৩. নতুন পরিস্থিতির নিরিখে মোহনবাগানের নামের সঙ্গে আর কিছু কিছু যোগ হতে পারে। সে নিয়ে সিদ্ধান্ত পরে।

সৃঞ্জয়ের বক্তব্য, বাংলার ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আধুনিক ফুটবলের সঙ্গে টেক্কা দিতে হবে। যা কর্পোরেট সংস্থা ছাড়া শুধু আবেগ দিয়ে সম্ভব নয়। সারা পৃথিবীতে জুড়ে তাই হচ্ছে। আমরাও সে পথে পা রাখলাম। বাংলার সংস্থা সঙ্গে রয়েছে। ফলে তারাও বাংলার আবেগের ভাল-মন্দ জানে। এটা আমাদের বড় পাওনা। আর মোহনবাগানের চেয়ারম্যান টুটু বোস বলছেন, সময়ের দাবি মেনে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল। ধন্যবাদ আরপিজি সংস্থাকে।

মোহনবাগানের আজকের এই ইতিবাচক পরিণতির সলতে পাকানো শুরু হয়েছিল মাস কয়েক আগে থেকেই। চলছিল মার্জার সরণি তৈরির কাজ। তাড়াহুড়ো ছিল না। ছিল দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়াকে সফল করা। সে উদ্যোগ যে সফল তা আজকের ঘটনা প্রমাণ করেছে। ময়দানের আর এক প্রধান ইস্টবেঙ্গলও কোয়েস্টের সঙ্গে একইভাবে গাঁটছড়া বেঁধেছিল। সেই গাঁটছড়া দীর্ঘকালীন হয়নি। কিন্তু ময়দান ও বাংলার ফুটবলের স্বার্থে তাদেরও ইতিবাচক কোনও পরিণতির দিকে তাকিয়ে আছেন সদস্য-সমর্থকরা। কলকাতার ফুটবল চায় মহমেডানেরও উত্থান। বাকি দুই প্রধানের এক্ষেত্রেও সাহায্যের হাত থাকুক, চাইছেন ময়দানের ফুটবলপ্রেমীরা।

Related articles

শ্যুটিং করতে গিয়ে রক্তাক্ত ছোটপর্দার নায়িকা তিয়াসা, চিন্তায় অনুরাগীরা!

টেলিভিশন দুনিয়ার জনপ্রিয় মুখ তিয়াসা লেপচা ফের খবরের শিরোনামে। এবার শ্যুটিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন তিনি (Tiyasha...

২৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়া-সন্ধ্যায় কৃতী সংবর্ধনা ও এডুকেশন হেলথ কার্ড উদ্বোধন

উত্তর কলকাতার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে রঙিন সাংস্কৃতিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হল সংবর্ধনা ও সমাজসেবামূলক এক...

কলকাতা দর্শন: ডিসেম্বরেই শহর ভ্রমণে নতুন উদ্যোগ! চালু হচ্ছে বিশেষ পর্যটন বাস পরিষেবা

শীতের মৌসুমে কলকাতার পর্যটন শিল্পকে তেজ দিতে নতুন পদক্ষেপ নিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। ডিসেম্বরের শুরু থেকে চালু হতে...

কাপড়ের ব্যবসা করে জীবন কাটাচ্ছেন ধর্ষণের দায়ে জেল খাটা বলিউড নায়ক!

বলিউডের (Bollywood) একসময়ের নামকরা হিরো এখন রিয়েল লাইফে জিরো। 'গ্যাংস্টার'-এর মতো সুপারহিট সিনেমায় অভিনয়ের পর ধর্ষণের দায়ে সাত...
Exit mobile version