দিলীপ ঘোষ উন্মাদ! যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করলেন পার্থ

এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সরাসরি উন্মাদ বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন পার্থবাবু সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “দিলীপবাবু আমাদের লক্ষী৷ যত বলবেন ততই আমাদের দলের মঙ্গল৷ মহিলাদের সম্মান দেয় না বিজেপি৷ মহিলাদের যে স্থান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন, তা ঐতিহাসিক৷ নারী সুরক্ষা,উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য৷”

প্রসঙ্গত, এদিন দিলিপ ঘোষ একটি সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে বলেন, যে দিন থেকে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, সেদিন থেকে বারাসাত কামদুনি কৈজুড়ি থেকে শুরু করে গঙ্গারামপুর বালুরঘাটে ৭ থেকে ৭০ বছরের কোনও মহিলা সুরক্ষিত নেই৷ ধর্ষন হচ্ছে, গনধর্ষন হচ্ছে, তিনি আটকাতে পারছেন না৷

দিলিপ ঘোষ আরও বলেন,গ্রামে গ্রামে পাহারে পাহারে যেখানে সেখানে মা বোনেদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে৷ লুঠ হচ্ছে,খুন হচ্ছে, বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে, ধর্ষন হচ্ছে৷ প্রশাসন বলে কিছু নেই৷ পুলিশ স্কুলের মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করছে৷ আর পুলিশমন্ত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

অনুপ্রবেশকারীরা এলে চিন্তা নেই৷ বিজেপি রাস্তায় নামলেই চিন্তা৷ হাফ হয়েছে, সাফ করব৷ লোকসভার পর চিন্তায় পড়ে গিয়েছে তৃণমূল৷ ভোটের চিন্তায় দিদির খাওয়া-নাওয়া নেই৷ ঘুমোতে পারেন না,বাড়ি থাকতে পারেন না৷ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন৷

আর সেই উত্তরেই দিলীপ ঘোষকে উন্মাদ বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “প্রতিদিন একজন মানুষ রাস্তায় দাড়িয়ে কুকথা বলছেন। যারা বাংলায় দাঁড়িয়ে যত বেশি এমন কুকথা বলবেন তৃণমূলের তাতে লাভহবে। বাংলাকে কারা অশান্ত করছে তা দেখছে মানুষ। তবে বাংলাকে গুলি, বন্দুক দিয়ে অশান্ত করা যাবে না।”

একইসঙ্গে, ভদেশের আর্থিক খারাপ হালের চিত্র ঢাকতেই বিজেপি সরকার সিএএ ইস্যুকে সামনে এনেছে। দেশে প্রতিদিন বেকারত্ব বাড়ছে। টাকার দাম কমছে। মানুষ বাজাড়ে গেলে তা বুঝতে পারছেন কীভাবে জিনিষ পত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেদিকে মোদি সরকারের কোনও হেলদোল নেই। শুধু হিন্দু-হিন্দু করে মানুষকে বিভাজনের রাজনীতি করা। যা মানুষ বুঝতে পারছে বলেও দাবি করেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।