কুণাল ঘোষের সাংসদ তহবিলের অর্থে নবরূপে দক্ষিণেশ্বর ভারতী ভবন বালিকা বিদ্যালয়

রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের সাংসদ তহবিলের টাকায় রাজ্যের আরও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন রূপ পেলো। এবার তাঁর বরাদ্দ অর্থে সেজে উঠলো দক্ষিণেশ্বর ভারতী ভবন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়।

রাজ্যের এই বাংলা মাধ্যম স্কুলে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ। সেই অর্থেই নির্মিত হয়েছে এক বিশাল গৃহ। যেখানে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা শরীর চর্চা করতে পারবে। এই গৃহে জিম-সহ অন্যান্য খেলাধুলার সরঞ্জাম রাখা হবে। যা তৈরি করতে খরচ পড়েছে ৭ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি আধুনিক কম্পিউটার রুম তৈরি হয়েছে। যার জন্য খরচ পড়েছে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। যা পেয়ে পড়ুয়ারা দারুণ খুশি। তারা কুণাল ঘোষকে বিশেষ ধন্যবাদ জানায়।

শুক্রবার দুটি ভবনেরই উদ্বোধন করেন কুণাল ঘোষ। তবে এক্ষেত্রে তিনি একটু ব্যতিক্রমী। রাজ্যের শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থ বরাদ্দ করেছেন কুণাল ঘোষ। অনেক জায়গায় উদ্বোধনেও গিয়েছেন। কিন্তু নিজে হাতে ফিতে কাটা নয়, পড়ুয়াদের দিয়েই সে কাজ করেন কুণাল। এদিনও তাই করলেন।

তাঁর বরাদ্দ অর্থে দক্ষিণেশ্বর ভারতী ভবন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে নতুন ভবন ও কম্পিউটার গৃহের উদ্বোধনে গিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা পান প্রাক্তন সাংসদ। তিনি নিজেও তৃপ্ত। তাঁর কথায়, “এ ধরণের অনুষ্ঠানে এলে ভালো লাগে। মনে হয়, সঠিক জায়গায় সঠিকভাবে অর্থ বরাদ্দ করেছি। আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটা কম্পিউটার রুম খুবই দরকার ছিল এই স্কুলে। সেটা করতে পেরে ভালো লাগছে। আর আমার শিলান্যাস নয়, উদ্বোধনে যেতেই বেশি ভালো লাগে। আলাদা অনুভূতি হয়।”

তিনি আরও বলেন, “মেয়েরা এখন পুরুষদের সঙ্গে সব বিষয়েই পাল্লা দিচ্ছে। তা সে মহাকাশচারী হোক, বিমান চালিকা কিংবা যুদ্ধবিমান চালিকা। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে মেয়েদের আধুনিক ও উন্নতমানের পরিষেবা দেওয়া প্রয়োজন।”

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুদীপ্তা পাল প্রাক্তন সাংসদকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “আমাদের স্কুলে আধুনিক শিক্ষার জন্য পরিকাঠামোগত বেশকিছু জিনিসের প্রয়োজন ছিল। বিশেষ করে কম্পিউটার রুম। কুণাল ঘোষের বরাদ্দ অর্থে আজ তা বাস্তবায়িত। ওনাকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমাদের নেই। গোটা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কুণাল ঘোষ মহাশয়ের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”

সবশেষে বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষিকা, প্রাক্তন ছাত্রীদের “প্রাক্তনী” সংগঠন করারও পরামর্শ দেন কুণাল ঘোষ। তার উপকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তাও বুঝিয়ে বলেন তিনি। এরপর প্রধান শিক্ষিকার ঘরে প্রাক্তন ছাত্রীরা এসে কুণাল ঘোষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

Previous articleবইমেলার থিম রাশিয়া, সাগ্রহে তাকিয়ে আয়োজকরা
Next articleদিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর