KMC vote 31: ভরাডুবির ঝুঁকি কি নেবেন পরেশ পাল?

31 নম্বর ওয়ার্ড একসময়ে পরেশ পালের হোমওয়ার্ড। দীর্ঘকাল পুরপিতা। পরে মহিলা সংরক্ষিত। এখন কাউন্সিলর সুনন্দা গুহ।

এদিকে 31 নম্বর ওয়ার্ডটি এখন মানিকতলা বিধানসভার অধীন, বিধায়ক সাধন পান্ডে। পরেশ পাশের বেলেঘাটার বিধায়ক।

সাধন বনাম পরেশ মতপার্থক্য আপাতত তীব্রতর। পরেশের 31-এ সাধন নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছেন। যে কোনো বিষয়ে ঝগড়া হচ্ছে। পরেশ একবার কুৎসিত ভাষায় সাধনকে আক্রমণ করেছেন।

এদিকে এখনকার কাউন্সিলর সুনন্দা গুহ একসময় পরেশপন্থী থাকলেও এখন খোলাখুলিভাবে সাধনের সঙ্গে। সাধনবাবু চান সুনন্দাই প্রার্থী হোন।

অন্যদিকে পরেশ শিবিরের খবর, নিজের সাবেকি ওয়ার্ডে পুরপিতা হতে চান পরেশ। অথবা তাঁর পছন্দের কাউকে দাঁড় করাতে চান। ওয়ার্ডে আপাতত পরেশের সুভাষ মেলা চলছে। তাকে ঘিরে জনসংযোগ বাড়িয়েছেন তিনি। আবার সাধনবাবুও ক্রেতাসুরক্ষা বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেলাসহ অন্য কর্মসূচি নিয়ে নেমে পড়েছেন।

প্রশ্ন হল, পরেশ কি আদৌ নিজে দাঁড়িয়ে ঝুঁকি নেবেন? গতবারেই 29 নম্বর ওয়ার্ডে লড়ে প্রকাশ উপাধ্যায়ের কাছে বিশ্রিভাবে হেরেছেন। এবার 31 নম্বর ওয়ার্ডেও হারলে সেটি খুব বাজে হবে। পরেশঅনুগামী শিবির তাই বলছে পরেশ নিজে না দাঁড়িয়ে পছন্দের কাউকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করাই ভালো।

এই টানাপোড়েন এখন তুঙ্গে উঠেছে। সাধনশিবির বলছে বিধায়কের ইচ্ছাক্রমেই এখনকার কাউন্সিলর টিকিট পাবেন। কেউ ঠেকাতে পারবে না।

এদিকে তৃণমূলের এমন মেরুকরণ দেখে আশায় মরে চাষার মত বুক বেঁধেছে বিজেপি। সেটাও স্বাভাবিক। কারণ লোকসভার হিসেবে হাজার পাঁচেক ভোটে এখানে পিছিয়ে তৃণমূল। ফলে বিজেপি কোমর বেঁধে নামবেই। বাম আর কংগ্রেস এতটাই দুর্বল যে তারা নির্ধারক শক্তিটুকুও হয়ে ওঠা মুশকিল।

Previous articleবই লেখায় সেঞ্চুরি হাঁকালেন মুখ্যমন্ত্রী !
Next articleনির্ভয়ার ধর্ষক-খুনিদের নির্দিষ্ট দিনে ফাঁসি নিয়ে ফের সংশয়