কীভাবে হয় ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ?

চারিদিকে করোনা আতঙ্ক। সঙ্গে আসে ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি। তার দোসর ম্যালেরিয়া। ম্যালেরিয়া সাধারণত প্লাজমোডিয়াম নামক পরজীবী থেকে সৃষ্টি হয়। প্লাজমোডিয়ামের ৫টি প্রজাতি মূলত ম্যালেরিয়া সৃষ্টি করে। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, অ্যানোফিলস মশার প্রায় চারশোটি প্রজাতি রয়েছে। যার মধ্যে ৩০টি প্রজাতি অ্যানোফিলস ম্যালেরিয়ার ভেক্টর হিসাবে কাজ করে। এই মশা মূলত ভোরের দিকে এবং সন্ধেয় কামড়ায়।

যে অঞ্চলে মশার জীবনকাল দীর্ঘ, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ সেই জায়গায় সবথেকে বেশি। যেমন আফ্রিকাতে মশার জীবনচক্র সবচেয়ে দীর্ঘ এবং মানুষকে কামড়ানোর প্রবণতা খুব বেশি। ঠিক এই কারণেই বিশ্বের ৯০ শতাংশ ম্যালেরিয়ার রিপোর্ট আফ্রিকার দেশগুলিতেই পাওয়া যায়।
কীভাবে বুঝবেন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত কি না।
ডাক্তারদের মতে, দু’ধরণের ম্যালেরিয়া আছে। একটি সাধারণ ম্যালেরিয়া, অন্যটি সিভিয়ার ম্যালেরিয়া। রোগীদের কাঁপুনি দিয়ে উচ্চ জ্বর হয়। প্রায় ছয় থেকে দশ ঘন্টার জন্য স্থায়ী হয় এই জ্বর। জ্বর ছাড়ার সময় ঘাম হয়। শরীর দুর্বল হয়ে যায়। কখনও কখনও জ্বরের সঙ্গে মাথাব্যাথা এবং বমিও হয়। এই পর্যায়ে ম্যালেরিয়াকে অবহেলা করা হয় এবং সঠিক চিকিৎসা না করানো হয় তবে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। একইধরণের উপসর্গ দেখা যায় সিভিয়ার ম্যা লেরিয়ায়। অনেকসময়ই অজ্ঞান হয়ে যায়, একাধিকবার খিঁচুনি। অভ্যন্তরীণ রক্তপাত, অ্যানিমিয়া, জন্ডিস এবং অঙ্গ বিকল হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
ম্যালেরিয়া নিরাময়ের চিকিৎসা কী?
ম্যালেরিয়ার প্রধান চিকিৎসা হল রক্ত-প্রবাহ থেকে রোগ সৃষ্টিকারী পরজীবীর নিষ্কাশন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সাধারণ ম্যালেরিয়া চিকিৎসার জন্য আর্টেমিসিনিন ভিত্তিক কম্বিনেশন থেরাপি সুপারিশ করেছে। আর্টেমিসিয়া নামক উদ্ভিদ থেকে ওষুধ তৈরি করা হয়।

Previous articleকাগজ না দেখাতে পারলেই ঘ্যাচাং ফু, ফের কেন্দ্রকে তোপ মমতার
Next articleপড়ুয়াদের লাগাতার ঘেরাও-এর জেরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি প্রেসিডেন্সির উপাচার্য