বিস্ফোরণের সম্ভাবনা ছিল। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরম আকার নিতে পারে বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের স্বাগত ভাষণে নিয়ে কোনও চাপানউতোর হল না বিধানসভায়। শুক্রবার, দুপুর ২টো নাগাদ বিধানসভায় যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁকে স্বাগত জানান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর ২টো ৪০ মিনিটে বক্তব্য পাঠ করতে শুরু করেন রাজ্যপাল।

স্বাগত ভাষণে কোনও সংযোজন-বিয়োজন করেনি রাজ্যপাল। রাজ্যের লিখে দেওয়া সব অংশই পাঠ করেন তিনি। তাতে ছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যে বহু মন্তব্য। কিন্তু সবই পাঠ করেন জগদীপ ধনকড়। বক্তৃতার খসড়ায় লেখা ছিল, রাজ্যে কোনওভাবেই নাগরিকত্ব আইন লাগু হবে না। এই আইন প্রত্যাহার করার জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ পাঠাবে এই বিধানসভা। এই মুহূর্তে দেশ কঠিন ও বিতর্কিত অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সব কথাই পড়েন রাজ্যপাল।
ভাষণে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গেই একমাত্র রাজ্য যেখানে একটি কর্মদিবস নষ্ট হয়নি।
এমনকী, ভাষণে লেখা ছিল, কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়াই সরকার বুলবুলের মোকাবিলা করেছে। সেটাও পড়েন তিনি।


গত বছর রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা শান্তিপূর্ণ ছিল। রাজ্যে সব উৎসব সমানভাবে পালিত হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে কিছু গোষ্ঠী নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চালালেও, শান্তিপূর্ণভাবে রাজ্য সরকার তার মোকাবিলা করেছে। CAA বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তার জন্য দুঃখ প্রকাশ রাজ্যপাল।

বেশ কিছুদিন ধরেই বক্তৃতার খসড়া ঘিরে চাপানউতোর চলছিল। সংবাদ মাধ্যমের সামনেও ধনকড় বলেন, রাজ্যের পাঠানো খসড়ার কিছু অংশে তাঁর আপত্তি আছে। রাজ্য রীতি মেনে খসড়া পাঠিয়েছে, কিন্তু তা পড়া বা না পড়ার অধিকার তাঁর আছে। এই পরিস্থিতিতে ধনকড়ের সঙ্গে সরকারের একটা সংঘাত তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু রাজ্যের পাঠানো বক্তৃতা হুবহু পড়ায় আপাত সংঘাত এড়িয়েছে।

