আচার্যকে ছাড়াই সমাবর্তন পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে

যাদবপুর, কলকাতার পরে রাজ্যের আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন হল আচার্যকে ছাড়াই। আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ছাড়াই অবশেষে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়। শুক্রবার, সকালে কোচবিহার শহরের উৎসব অডিটোরিয়ামে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়, পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন সহ অনেকে। তবে, এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভার অধিবেশন চলার কারণেই শিক্ষামন্ত্রী আসতে পারেননি বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।
রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনকড়কে ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। বুধবার, সকালে রাজ্যপাল নিজেই টুইট করে জানান, পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে অথচ তিনি কিছুই জানেন না । এমনকী আমন্ত্রণ পত্রে তাঁর নাম না থাকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার, দুপুরে রাজ্যপাল আরও একটি টুইট করে জানান, এই ঘটনায় পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শোকজ করা হয়েছে। কেন এই ঘটনার জন্য তাঁকে বরখাস্ত করা হবে না, তা আগামী ১৪ দিনের মধ্যে জানাতে হবে বলেও জানিয়ে দেন ধনকড়। যদিও রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ না করার বিষয়টি মানতে চাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, তিনি রাজভবনে জানালেও, কোনও উত্তর পাননি। তিনি বলেন, “বিধি মেনে কোনও চিঠি এলে তার উত্তর আমি অবশ্যই দেব। সোশ্যাল মিডিয়ায় কি হয়েছে তার উত্তর আমি দেব না।”
এদিনের অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ জন পড়ুয়াকে স্বর্ণপদক ও ৪৪ জন পড়ুয়াকে রৌপ্য পদক দিয়ে সম্মানিত করা হয়। যদিও এবছর এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন ডিলিট সম্মান দেওয়া হয়নি। তবে পঞ্চানন বর্মা স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বিশিষ্ট আইনজীবী তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ প্রসেনজিৎ বর্মণকে।

Previous articleভাষা শহিদদের স্মরণে ‘অমর ২১শে’
Next articleপ্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালেন কেজরিওয়াল