তিন মাসের মধ্যে টেলিকম মন্ত্রকের সব বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। কিন্তু তা মানেনি একাধিক টেলিকম সংস্থা। যার জেরে টেলিকম সংস্থাগুলিকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। কেন আদালত অবমাননা করা হয়েছে তার কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছে আদালত।
গত অক্টোবরে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে টেলকম মন্ত্রককে সব বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। এয়ারটেল, ভোডাফোন-সহ একাধিক টেলকম সংস্থার অধিকর্তাদের আদালত অবমানানার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি আবদুল নাজির এবং বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চ।
শুক্রবার বিচারপতিরা জানিয়েছেন, যে কোনও ধরনের দুর্নীতি বন্ধ হওয়া উচিৎ। এটাই শেষ সুযোগ এবং চরম সতর্কবার্তা তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে আদালত। পরবর্তী শুনানির দিন ১৭ মার্চ। তার আগে যদি ৯২ হাজার কোটি টাকা না মেটানো হয়, তাহলে টেলিকম সংস্থাগুলির অধিকর্তাদের সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন টেলকম মন্ত্রকের অফিসারদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে, কোন অধিকারে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভেনিউ ফ্রিজিংয়ের নির্দেশ জারি করা হয়েছে। তিন মাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর টেলকম মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে না। টেলিকম মন্ত্রকের এই ‘নরম সুর’ শুনে ভোডাফোন, এয়ারটেল মতো সংস্থা জানায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তারা বকেয়া মেটাবে না।