এ কোন অমর? কেন বচ্চন পরিবারের কাছে অনুতাপে চাইলেন ক্ষমা?

গায়ে হলুদ জামা। চেহারা কঙ্কালসার। দেখে বোঝার উপায় নেই, তিনিই এক সময়ে দেশের এক নম্বর ম্যানিপুলেটর অমর সিং। সুদূর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে সমাজবাদী নেতার। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। শরীর ভেঙে খানখান। সেই আত্মবিশ্বাসের লেশমাত্র নেই। কিডনির অসুখে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। যেন বৃদ্ধ বয়সের আত্মবিলাপ। আর সেখান থেকেই করজোড়ে ক্ষমা চাইলেন অমিতাভ বচ্চন ও তাঁর পরিবারের কাছে। বললেন, আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে ক্ষমা চাইছি বচ্চন পরিবারের কাছে। আমি আজ অনুতপ্ত।

বচ্চন পরিবার ও অমর সিংয়ের বন্ধুত্ব এক সময়ে ছিল সর্বজনবিদিত। অমিতাভ আর অমর এক সময়ে ছিলেন জুটি। শোনা যায়, তাঁর তদ্বিরেই জয়া বচ্চন রাজ্যসভার সাংসদ হন। কিন্তু একের পর এক ইস্যু নিয়ে অমিতাভকে আক্রমণ করেছিলেন অমর। এমনকী ঐশ্বর্য সম্বন্ধেও করেছেন ন্যক্কারজনক মন্তব্য। জয়ার সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন। শোনা যায় তিহাড় জেলে থাকাকালীন অমিতাভ বা তাঁর পরিবার দেখা করতে না আসায় তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরে। পাল্টা অবশ্য অমিতাভ একটি শব্দও বলেননি। কিন্তু ভেঙে যায় সম্পর্ক।

আর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে শুয়ে স্মৃতিচারণে অমর তাই আজ অনুতপ্ত। রাজনীতির ময়দান থেকে বহু দূরে। মানুষের মন থেকেও ক্রমশ ধূসর হতে শুরু করেছেন। শুধু ট্যুইট নয়, একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়েছেন। বলেছেন, বাবার মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে অমিতাভ বচ্চনের একটি বার্তা পেয়েছি। জীবনের আজ এই মোড় এসে, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে লড়তে অনুতপ্তবোধ করছি। অমিতজি ও তাঁর পরিবারের কাছে ক্ষমাপ্রর্থী। স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ও অমিতাভের সেই হোটেলের, যেখানে দুজনে একসময় দুমাস একসঙ্গে ছিলেন।

অসুস্থ অমর যেন অনুতাপে জর্জরিত। কিন্তু তাঁর পুরনো বন্ধু অমিতাভ কী তাঁকে মাফ করবেন! নেটিজেনদের অপেক্ষা এখন তার জন্যেই।