গত তিন মাসে পাপিয়া হোটেলের বিল দিয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা !

গত তিন মাসে শুধু ঢাকার একটি পাঁচ তারা হোটেলেই যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া বিল দিয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ওই হোটেলের প্রেসিডেন্ট স্যুট সব সময় তার নামে বরাদ্দ থাকত। দেশত্যাগের সময় শাহজালাল বিমানবন্দরে পাপিয়াকে আটক করা হয়{ ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানায় র্যা ব।র্যা ব আরো জানায়, হোটেলটির বারে তিনি প্রতিদিন বিল দিতেন প্রায় আড়াই লাখ টাকা। অথচ বৈধভাবে তার বার্ষিক আয় মাত্র ১৯ লাখ টাকা।
তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা, অর্থ পাচারসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।গ্রেফতার অন্য তিনজন হলেন- পাপিয়ার স্বামী ও তার অবৈধ আয়ের হিসাবরক্ষক মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন, পাপিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শেখ তায়্যিবা ও সাব্বির খন্দকার। তাদের কাছে পাওয়া গেছে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন।
র্যা ব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পাপিয়ার বিষয়ে অনুসন্ধান করছিল একটি দল। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তড়িঘড়ি করে দেশত্যাগের সময় শনিবার সকালে বিমানবন্দর থেকে তিন সহযোগীসহ তাকে গ্রেফতার করে র্যা ব-১।লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফীউল্লাহ বুলবুল বলেন, গাড়ির ব্যবসার আড়ালে তিনি অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। সমাজসেবার নামে তিনি নরসিংদীর অসহায় নারীদের অনৈতিক কাজে লিপ্ত করে আসছিলেন। অধিকাংশ সময় তিনি নরসিংদী ও রাজধানীর বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে থাকতেন। সেখানে তার ও তার স্বামীর ব্যবসায়িক অংশীদারদের অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য নারী সবরবরাহ করাই ছিল তার মূল কাজ। নরসিংদীতে চাঁদাবাজির জন্য তার একটি ক্যাডার বাহিনী আছে। স্বামীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অবৈধ অস্ত্র-মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে তিনি অল্প সময়ে নরসিংদী ও ঢাকায় একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের মালিক হয়েছেন। তিনি গুলশানের একটি অভিজাত হোটেলের প্রেসিডেন্ট স্যুট নিজের নামে বুক করে নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলেন। সেখানে তার অধীনে থাকা সাত নারীর কথা জানতে পেরেছে র্যািব। তাদের তিনি প্রতি মাসে ৩০ হাজার করে টাকা দিতেন।