ট্রাম্প একজন উচ্চাকাঙ্খী, আগ্রাসী মানুষ, এমনই ধারনা গ্রাফোলজিস্টদের

“ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন উচ্চাকাঙ্খী মানুষ। সেই সঙ্গে আগ্রাসীও”৷

মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাতের লেখা বিশ্লেষণ করে এমনই জানিয়েছেন কলকাতার বিশিষ্ট গ্রাফোলজিস্ট শুভ্রবরণ চক্রবর্তী-সহ একাধিক হস্তরেখাবিদের৷

ট্রাম্পের প্রথম ভারত সফরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে তাঁর হাতের লেখা৷
সোশ্যাল মিডিয়া উপচে গিয়েছে হাতের লেখা নিয়ে নানা মন্তব্যে৷ কেউ লিখেছেন, ‘এটা ট্রাম্পের সই নয়, ওর ECG রিপোর্ট’৷ কেউ লিখেছেন, ‘যে লোকটা ইংরেজি তে লেখা বিবেকানন্দ বা সচিন উচ্চারন করতে পারেন না, তাঁর বিদ্যার লেভেল বোঝা যায়৷ তাই তিনি হয়তো হাতের লেখাটা ইচ্ছা করেই জটিল করেছেন, পাছে ভুলগুলো সব ধরা পড়ে যায়’৷
ওদিকে হস্তরেখাবিদরা বসেছেন ট্রাম্পের হাতের লেখা জরিপ করতে৷ খুঁজছেন, ব্যক্তি হিসেবে কেমন ডোনাল্ড ট্রাম্প, কেমন তাঁর চরিত্র, এসবের উত্তর৷

আমেদাবাদের সবরমতী আশ্রম কিম্বা তাজমহলের ভিজিটার্স বুকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন তাঁর ‘মন কি বাত’৷ বিশ্বের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী দেশের, সর্বাপেক্ষা
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ট্রাম্প৷
তাই ট্রাম্পের হাতের লেখা নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে৷ অনেক না-জানা তথ্য জানা যাবে হাতের লেখা বিশ্লেষন করে৷ তাই
হস্তরেখাবিদরা প্রেসিডেন্টের হাতের লেখার ধরন কাঁটাছেড়া করতে শুরু করে দিয়েছেন৷ সবরমতী আশ্রম এবং তাজমহলের ভিজিটার্স বুকে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতের লেখা জোড়া বার্তা এখন ভাইরাল। সেই হাতের লেখার ধরণ দেখে গ্রাফোলজিস্ট বা হস্তলিপি বিশেষজ্ঞ শুভ্রবরণ চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে
বলেছেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন উচ্চাকাঙ্খী মানুষ। সেই সঙ্গে আগ্রাসীও”। এই গ্রাফোলজিস্টের দাবি, হাতের লেখার থিকনেস বা ঘনত্ব দেখে বোঝা যায় তিনি আদতে কেমন, ওই মানুষটির সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্যও জানা সম্ভব। ভিজিটার্স বুকে ট্রাম্পের হাতের লেখা দেখে একাধিক হস্তলিপি বিশেষজ্ঞের অভিমত, “ট্রাম্প একজন অতি-রাগী মানুষ। অহেতুক সেই রাগ৷
প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী এবং শৌখিন। সুগন্ধি পছন্দ করেন । হাতের লেখা দেখে সেই মানুষটির কী ধরনের খাবার পছন্দ তার খোঁজও মেলে বলে দাবি করেছেন হস্তলিপি বিশেষজ্ঞরা। শুভ্রবরণ চক্রবর্তীর কথায়, “মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাতের লেখা দু’টি আমি খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে দেখেছি। হাতের লেখার অ্যাঙ্গেল বা কোণ দেখে আমার মনে হয়েছে যে, তিনি যা বিশ্বাস করেন, তা খুব জোরালোভাবে বিশ্বাস করেন। যে কাজ করেন, তার পিছনের এনার্জি লেভেল বা শক্তিস্তর খুব বেশি। যে কোনও ব্যাপারে নিজের মতামত প্রকাশ করতে, অন্যের মতামত তোয়াক্কা করেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের দুটি হাতের লেখা বিচার করে বিশেষজ্ঞরা এ কথাও বলছেন, “মানুষের পারফরম্যান্স বা কর্মক্ষমতা এবং যোগ্যতাই ট্রাম্পের কাছে শেষ কথা। তাঁর কাছে, নিজের কাজে লাগে এমন মানুষই তাঁর কাছে প্রিয়জন। ট্রাম্প একজন অত্যন্ত চাপযুক্ত মানুষ। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতির সহজেই মোকাবিলা করতে পারেন। অন্তত ভিজিটার বুকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাতে লেখা বার্তা দেখে এমনটাই জানাচ্ছেন হস্তলিপিবিদরা।

সবরমতী আশ্রম থেকে বেরিয়ে আসার সময়ে ভিজিটার্স লগ বুকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট
লিখে এসেছেন, ‘প্রাণের বন্ধু’ নরেন্দ্র মোদির কথা৷

Previous articleচুক্তি স্বাক্ষরের আগে যা বললেন মোদি-ট্রাম্প
Next articleইসলামিক সন্ত্রাস রুখতে যৌথ লড়াই হবে: ট্রাম্প