শীর্ষে নিশ্চয়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে অবশ্যই শুভেন্দু অধিকারী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা।

কিন্তু কাল সোমবার মূলত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোর জুটির হাত ধরে নতুন ইনিংস শুরুর পথে তৃণমূল।
লোকসভা ভোটে ধাক্কা ছিল। “দিদিকে বলো” ইত্যাদি কর্মসূচি নিয়ে বাংলাজুড়ে পথে নেমে সেই ধাক্কা সামাল দিয়েছে দল। এবার আবার এগনোর পালা। আসন্ন পুরভোট এবং তারপর বিধানসভা নির্বাচন।
কাল নেতাজি ইন্ডোর থেকে ঘোষিত হবে নতুন কর্মসূচি।
বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে থাকছেন মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, পুরপিতা, সংগঠন ও শাখা সংগঠনের সভাপতিরা, গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, পদাধিকারীরা।
অভিষেক-পিকে জুটি এই বৈঠককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। প্রবেশে কড়াকড়ি। বারকোড লাগানো প্রবেশপত্র। পেশাদারি সুশৃঙ্খল মোড়কে আয়োজন। দিনরাত পরিশ্রম করছে একটা বড় টিম। নিজেকে প্রচারের আলোর বাইরে রেখে দলকে বিজ্ঞানভিত্তিক কাঠামোতে সাজাতে নেমেছেন অভিষেক।
কাল একঝাঁক কর্মসূচি ঘোষণার পালা। আরও নিবিড় জনসংযোগ করবে তৃণমূল।
মমতাকে ঘিরে দলের আবেগের সঙ্গে অভিষেক মেশাচ্ছেন কাঠামো, শৃঙ্খলা, অনুশাসন। কোথায় সমস্যা, কী সমস্যা এবং তার কী সমাধান; অভাবনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে দল। পিকের মত ভোটকূশলীকে অভিষেক ধারালো সাংগঠনিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন।
ফলে, কাল নেতাজি ইন্ডোরে ” AITC EVENT LAUNCHING” শীর্ষক বৈঠক ঘিরে দলে এবং দলের বাইরেও সামগ্রিক রাজনীতিতে কৌতূহল তুঙ্গে। অভিষেক-পিকে জুটির হাত ধরে মমতার নেতৃত্বে নতুন ইনিংস শুরুর মঞ্চের দিকে সকৌতূহলে তাকিয়ে আছে সংশ্লিষ্ট সব মহল।
