“গোলি মারো” স্লোগানকে তুচ্ছ বললেন রাজ্যপাল!

ফের বিতর্কিত মন্তব্য রাজ্যপালের। ‘গোলি মারো স্লোগান’ প্রসঙ্গে রাজ্যপালের সাফ মন্তব্য, এটি একটি “তুচ্ছ ঘটনা। হাজার জনের মধ্যে একজন কে কী বলল, তাতে কিছু আসে যায় না। আপনারা সেনসেশনালাইজ করছেন। গোলি মারো স্লোগান আমি মনে করি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনাদের কাছে এটা ১০০ শতাংশ সেনসেশনাল। কিন্তু আমার কাছে এই ধরণের জিনিস ০.১ শতাংশ গুরুত্বপূর্ণ।” ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ‘জালিয়ানওয়ালাবাগ’ প্রদর্শনী উদ্বোধনে এসে বললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

প্রসঙ্গত, রবিবার শহিদ মিনারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় ‘গোলি মারো’ স্লোগানে উত্তেজনা ছড়ায় ধর্মতলা চত্বরে। শহরের রাজপথে উস্কানিমূলক মন্তব্যের ঘটনায় সক্রিয় হয় পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয় ৩ জনকে। তারপরই রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সুরেন্দ্র কুমার তিওয়ারি, ধ্রুব বসু ও পঙ্কজ প্রসাদ নামে ৩ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের বিরুদ্ধে রাতেই নিউ মার্কেট থানায় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৫৩-A (দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরিতে উস্কানি দেওয়া), ৫০৫ (কোনও সম্প্রদায়কে হুমকি দেওয়া), ৫০৬ (কোনও ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়া) এবং ৩৪ (সমবেত ভাবে অপরাধ করা)- এই ৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়।

এ ছাড়াও রাজ্যপাল ছাড়াও ‘দেশ কে গদ্দারো কো গোলি মারো’ স্লোগানে কোনও ভুল খুঁজে পাননি বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুও। বরং এক কদম এগিয়ে তিনি আরও দাবি করেন, “গোলিতে কাজ না হলে গদ্দারদের বিরুদ্ধে কামান দাগাও।” একইসঙ্গে সায়ন্তন বসুর সাফ হুঁশিয়ারি, “যে পুলিস অফিসারদের নেতৃত্বে গ্রেফতার করা হয়েছে, বিজেপি সরকারে এসে তাঁদের দেখে নেবে।” গ্রেফতারির বিরুদ্ধে বিজেপি উচ্চ আদালতে যাবে বলেও জানিয়েছেন সায়ন্তন বসু।

Previous articleএকটানা ইংরাজিতে গান্ধী-বন্দনা, স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ‘দাদি’
Next articleসঙ্কটজনক পিকে ব্যানার্জি, ক্রীড়ামহলে উদ্বিগ্ন