পুলওয়ামা হামলায় নাম জড়ালো অ্যামাজনের

পুলওয়ামা হামলায় অনলাইন শপিং সংস্থা অ্যামজনের নাম জড়ালো। ওই ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করার পর সামনে এলো এই তথ্য। ধৃতদের এক জন অ্যামাজন থেকেই বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম ও রাসায়নিক কিনেছিল। এনআইএ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতদের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

অনলাইন শপিং সাইট থেকে বিভিন্ন জিনিস কেন হয়। কিন্তু হামলার জন্য অ্যামাজন থেকে সরঞ্জাম কেনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এনআইএ-র গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ধৃতদের মধ্যে ওয়েজুল ইসলাম অ্যামাজন থেকে বিস্ফোরক কিনেছিল। এক গোয়েন্দা বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওয়েজুল স্বীকার করেছে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি), ব্যাটারি, অন্যান্য সরঞ্জাম ও রাসায়নিক কিনেছিল অ্যামাজন থেকে। জইশ জঙ্গিদের নির্দেশমতো এই সব সরঞ্জাম কিনতে ব্যবহার করেছিল নিজের আইডি-পাসওয়ার্ড।’’ জিজ্ঞাসাবাদে ওয়েজুল জানিয়েছে, পুলওয়ামা হামলার পরিকল্পনার অংশীদার হিসেবে সে নিজেই সব সরঞ্জাম জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল। বিস্ফোরণের জন্য অ্যমোনিয়াম নাইট্রেট, নাইট্রো গ্লিসারিন এবং আরডিএক্স ব্যবহার করা হয়েছিল তা ফরেন্সিক তদন্তে উঠে এসেছে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।।

গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলায় প্রাণ হারায় ৪০ জন সেনার। হামলায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবার শ্রীনগর থেকে ওয়েজুল ইসলাম এবং পুলওয়ামা থেকে মহম্মদ আব্বাস রাদার নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। দু’জনেরই পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ ছিল বলে জানিয়েছে এনআইএ। মহম্মদ আব্বাস জইশের পুরনো সদস্য। এক তদন্তাকারী অফিসার বলেন, ‘‘আব্বাস বহু দিন ধরে জইশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। ২০১৮ সালের এপ্রিল-মে নাগাদ বিস্ফোরক বিশারদ জইশ জঙ্গি কাশ্মীরে এসেছিল।’’

আরও পড়ুন-ইয়েস ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের সুখবর দিল এসবিআই

Previous articleআগামী সপ্তাহেই নবান্নে পুর-বৈঠক
Next article“বাংলার গর্ব মমতা” কর্মসূচিতে সৌগত-পূর্ণেন্দু-দোলা