রাজ্যসভার পঞ্চম আসনের প্রার্থী নিয়ে এখনও আঁধারে রাজ্যের বাম-কং

রাজ্যসভার পঞ্চম আসনের প্রার্থী নিয়ে কংগ্রেস ও বামেদের চাপান উতোর যথারীতি চালু হয়ে গিয়েছে৷ বঙ্গ-সিপিএমের প্রস্তাব ছিলোএই আসনে সীতারাম ইয়েচুরিকে প্রার্থী করা হোক৷ কংগ্রেসের হাই কম্যাণ্ড এই নামে সহমত প্রকাশও করেছিলো৷ কিন্তু ২০১৮-র মতো এবারওসিপিএম পলিট ব্যুরোর কারাত-লবি খারিজ করেছে ইয়েচুরির নাম৷ দ্বিতীয় নাম উঠে আসে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের à§· প্রদেশ কংগ্রেস এই নামে আপত্তি জানায়নি৷ কিন্তু সূত্রের খবর, দিল্লি-সিপিএম এই নামও খারিজ করেছে৷ এই পরিস্থিতিতে বিকল্প দু’টি নাম ভেসে উঠেছে৷ প্রথমটি বাম-শরিক সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমারের, দ্বিতীয় নাম, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক কুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের৷ কানহাইয়া রাজনৈতিক জগতের হলেও বিচারপতি সম্পূর্ণভাবেই অ-রাজনৈতিক৷ জানা গিয়েছে, কারাত লবি চেষ্টা চালাচ্ছে, মহম্মদ সেলিমকে কংগ্রেসের সমর্থনে রাজ্যসভায় পাঠাতে৷ সেলিমে প্রবল আপত্তি প্রদেশ কংগ্রেসের৷ এই সেলিমের কিছু মন্তব্যের কারনেই ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে কং-বাম জোট বানচাল হয়েছে বলেই প্রদেশ নেতাদের ধারনা৷

ওদিকে কানহাইয়া এই মুহূর্তে বিজেপি-বিরোধী গুরুত্বপূর্ণ মুখ হলেও ‘ইগো’-কে প্রাধান্য দিয়ে সিপিএম কোনও শরিককে এই আসন যে ছাড়বে না, তা এক রকম নিশ্চিত৷ এক্ষেত্রে হাতে থাকে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক কুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম৷ এই নামে কংগ্রেসের আপত্তি হয়তো থাকবে না, কিন্তু সিপিএম কী করবে বলা মুশকিল৷ সহমতের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য কংগ্রেস রাহুল গান্ধীকে এবং সিপিএম সীতারাম ইয়েচুরিকে দায়িত্ব দিয়েছে৷

অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ইতিমধ্যেই দলের হাই কম্যাণ্ড তথা কং-সুপ্রিমো সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে বলেছেন, পঞ্চম আসনে কংগ্রেস নিজের প্রার্থী পাঠাক! সেক্ষেত্রে সমর্থন চেয়ে অনুরোধ করা হোক তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ এই প্রস্তাবে প্রদেশ কংগ্রেসের জোট-পন্থীরা আপত্তি জানিয়ে বলেছেন, পুরভোটে দু’দলে জোট হচ্ছে, সেখানে তৃণমূলের সমর্থন নিলে ভুল বার্তা যাবে৷ তবে এআইসিসি সূত্রের খবর, এই প্রস্তাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সোনিয়া স্বয়ং৷
জোট প্রাথীর নাম এখনও ঝুলে আছে বলেই তৃণমূল এখনও পঞ্চম আসনের তাস লুকিয়ে রেখেছে৷ এমনও শোনা যাচ্ছে, পঞ্চম আসনে জোটের প্রার্থী পছন্দ না হলে তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে আবদুল মান্নান নিজেই পাড়ি দিতে পারেন রাজ্যসভায়৷