করোনা আতঙ্কে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা, কীভাবে এপ্রিলে হবে পুরভোট?

দিন স্থির না হলেও, রাজ্যে পুরসভা নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। শাসক-বিরোধী সব রাজনৈতিক দলই ঘুঁটি সাজাচ্ছে। প্রস্তুত হচ্ছে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। বাতাসে ঘুরছে এপ্রিল মাসেই হতে পারে নির্বাচন। কিন্তু আগামী মাসে কি পুরভোট হওয়া সম্ভব? এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কোনও রাজনৈতিক বা সাংবিধানক টানাপোড়েন নয়। এর কারণ করোনাভাইরাস। ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমণ রুখতে বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে ভোট গ্রহণ কী করে সম্ভব?
কারণ, ভোট তো একজনের বিষয় নয়। এখানে প্রচুর মানুষ জড়ো হন। ভোট গ্রহণের দিন বা ভোটের লাইনই নয়, রয়েছে প্রচার-মিছিল-রাজনৈতিক সভা। একই সঙ্গে এই ভোটযজ্ঞে জড়িত থাকেন ভোটকর্মী, নিরাপত্তা কর্মীরা। এই সময়ে এধরনের জমায়েত কী করে সম্ভব?
পুরভোট হবে আর প্রচার হবে না, তা তো হয় না। প্রচার মিছিলই হোক বা জনসভা- সেখানে হাজার, হাজার মানুষ জড়ো হন। করোনার জেরে যেখানে বেশি মানুষের জমায়েতেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের ক্লাবগুলিকে একই জায়গায় জড়ো হয়ে অনুদানের টাকা নিতে হবে না। পুলিশের মাধ্যেম পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে কী করে নির্বাচনী প্রচার সভার অনুমতি দেওয়া হবে?
এর পাশাপাশি, ভোটের আগে থেকে ভোটকর্মী ও নিরাপত্তা কর্মীরা একসঙ্গে যাতায়ত করেন। এক জায়গায় থাকেন, খাওয়া-দাওয়া করেন। একই শৌচালয় ব্যবহার করেন। যেখানে স্কুল, সিনেমা হল- সব বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেখানে এঁরা একসঙ্গে থাকবেন কী ভাবে?
করোনার সংক্রমণ রুখতে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানেটাইজার সহ বিভিন্ন জিনিস ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি, ভোটের সময় ভোটকর্মী, বুথকর্মী ও নিরাপত্তা বাহিনীকে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানেটাইজার দিতে হয়, তাতে ভোটের খরচ বিপুল বেড়ে যাবে।
এই পরিস্থিতিতে এপ্রিল মাসে কী হতে পারে পুরভোট? দ্বন্দ্বে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহল।

Previous articleকরোনা: সাউথ পয়েন্ট বলল পরীক্ষার পর স্কুলে নয়
Next articleএনআরসি, সিএএ-র প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল AIPWA