করোনাভাইরাসের জেরে ৩৫ বছরের দাম্পত্য জীবন টালমাটাল।স্ত্রীর আশঙ্কা, স্বামী উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন তাই করোনা সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। শুধুমাত্র এই সন্দেহের বশে তাঁকে বাড়িতে ঢুকতেই দিলেন না স্ত্রী। বাধ্য হয়ে তাই স্বামী কাটোয়া থেকে গেলেন কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। সেখান থেকে ‘করোনা মুক্ত’ বলে শংসাপত্র নিয়ে এলেন । তারপরই বাড়িতে ঢুকতে দিলেন স্ত্রী।
কাটোয়ার স্টেডিয়ামপাড়া এলাকার মণ্ডলবাড়ির এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । শংসাপত্র নিয়ে এসেও শান্তি নেই স্বামীর। আপাতত ‘একঘরে’ করে রেখে দেওয়া হয়েছে অরুণ মণ্ডলকে। স্ত্রীর নির্দেশে ১৪ দিন তাঁকে কাটাতে হবে কুঠুরিতে।
জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী অরুণ মণ্ডল ৬ মার্চ একাই দার্জিলিংয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ১৩ মার্চ বিকেলে তিনি ফিরে আসেন। তবে তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন স্ত্রী কল্পনা মণ্ডল। তিনি স্বামীকে স্পষ্ট ভাবে বলেন, “চারদিকে এখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের খবর পাচ্ছি । তোমাকে করোনা মুক্ত বলে চিকিৎসকের সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে। তবেই বাড়িতে ঢুকতে দেব।” আসলে কথায় আছে না, ‘আপনি বাঁচলে বাপের নাম! ‘
করোনা আতঙ্কে স্বামীকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা স্ত্রীর, NOC আনতে আইডি ছুটলেন ব্যবসায়ী!
Date:
Share post: