শ্রদ্ধা-স্মরণে কলকাতায় পালিত হল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী

পরাধীনতার নাগপাশ ছিন্ন করে হাজার বছরের বাঙালিকে যিনি এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা, বিশ্বের বুকে যিনি এঁকেছিলেন বাংলার মানচিত্র, এনে দিয়েছিলেন গর্বিত পরিচয়- সেই রাষ্ট্রীয় মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ছিল আজ মঙ্গলবার । বাংলাদেশের পাশাপাশি কলকাতাও জোয়ারে ভেসেছে তাঁর জন্ম শতবার্ষিকীতে । প্রতি বছরের মতো এবারও এ দিনটি ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবেও উদযাপিত করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়।
তবে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবারের জন্মদিন পালিত হয়েছে ভিন্ন আঙ্গিকে, সম্পূর্ণ নতুন ধারায়। কেননা শুধু বাংলাদেশ নয়, কলকাতার মতো বিশ্বজুড়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে জাতির জনকের জন্মশতবর্ষ।
শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে বাংলা ভাষার ও বাঙালি জীবনবোধের তিনি প্রতিভূ, নেতা, বন্ধু— বঙ্গবন্ধু। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ আজকের বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম নেওয়া মানুষটি স্বপ্ন দেখেছিলেন এক স্বাধীন দেশের, যে দেশের শাসনকর্তা হবেন বাঙালি, যে দেশের রাষ্ট্রভাষা হবে বাংলা। দেশভাগের আগে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে (এখন মৌলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি । ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছিল লক্ষ লক্ষ বাঙালির স্বাধীনতার দুর্মর আকাঙ্ক্ষা।
মঙ্গলবার সারাদিন বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান হ্য় কলকাতায় পার্কসার্কাসের বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনে। একই সঙ্গে তাঁরা উদযাপন করেছেন ২০২০-র জাতীয় শিশু দিবস। দূতাবাস সূত্রে জানা গিয়েছে , রাত পোহানোর আগেই একটায় শুরু হয় আতসবাজি প্রদর্শন ও কেক কাটা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানস্থল ছিল উপ হাই কমিশন ভবনের ছাদ ও বাংলাদেশ গ্যালারি। সকাল ন’টায় হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বাণী পাঠ প্রভৃতি। সকাল দশটায় ৮ নম্বর স্মিথ লেনে বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর ঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দূতাবাসের কর্তারা। এরই সঙ্গে ছিল বঙ্গবন্ধুর উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী, টেরাকোটার ম্যুরাল উদ্বোধন, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
গায়ক অঞ্জন দত্ত এবং কবীর সুমন কে স্মারক দিয়ে সংবর্ধিত করা হয় । কলকাতার বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, এই অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রমুখ বিশিষ্টরা। ছিলেন ওপার বাংলার বিশিষ্টজনেরাও।

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleওষুধ তৈরির ৬৭% রাসায়নিক আসে চিন থেকে!