Tuesday, December 16, 2025

‘করোনা’র শেষ সময় চলে এসেছে, আশার কথা শোনালেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মাইকেল লেভিট

Date:

Share post:

“করোনা- ভাইরাসের শেষ সময় চলে এসেছে।আমাদের এখন করনীয়, এই মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলা৷ এই “সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেজারমেন্ট” গ্রহণ করা হলে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আমরা ক্রমেই ভালোর দিকে যাচ্ছি।”

করোনা-গ্রাস নিয়ে হাজারো আতঙ্কের কথার মাঝেই এই স্বস্তির খবর শোনালেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মাইকেল লেভিট৷
এই বিজ্ঞানীই গত ১ ফেব্রুয়ারি কার্যত ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিলেন, “আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে চীনে করোনায় মৃতের হার কমে যাবে”। বলেছিলেন, “শুধু তাই নয়, মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই কমতে থাকবে”। লেভিটের এই ভবিষ্যদ্বাণী চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এর পর ‘চায়না ডেইলি নিউজ’কে এই নোবেলজয়ী বলেছিলেন, “করোনাভাইরাস মহামারীর শেষপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে”৷ লেভিট তাঁর এই বক্তব্যের সমর্থনে চীনে করোনা- ভাইরাসে আক্রান্তের ক্রমহ্রাসমান সংখ্যাই উল্লেখ করেছেন।

এখন পর্যন্ত চীনে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ১৭১ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ২৭৭ জন। আগের তুলনায় ওদেশে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমেছে। চীনের সরকারি খবর,
সোমবার নতুন করে ৭৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। তবে এদের ৭৪ জনই বিদেশফেরত।

লেভিট এই সংক্রমণের শুরুতেই বলেছিলেন, “কোভিড-১৯-এ চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজারে গিয়ে ঠেকবে। এবং মারা যাবে ৩ হাজার ২৫০ জনের মতো।”
লেভিট যখন এই ভবিষ্যদ্বাণী করেন, তখন চিনের করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার প্রতিদিন ৩০ শতাংশ হারে বাড়ছিল। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে এবং মৃত্যুর সংখ্যাও কমতে থাকে। তাঁর বলা সংখ্যা আশ্চর্যজনকভাবে মিলে যায়। মার্চ ১৬ পর্যন্ত এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, চীনে তখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ২৯৮ জন। মারা যান ৩ হাজার ২৪৫ জন।

লেভিট বলেছেন, “করোনা নিয়ে মানুষ ভয় পাচ্ছে, মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে অনেক বেশি৷ এটা স্বাভাবিক৷ কিন্তু মোদ্দা কথা হচ্ছে, সংক্রমণের হার ‘স্লো’ হয়ে যাওয়ার অর্থ, এই মহামারী সমাপ্তির খুব কাছে এসে গিয়েছে।”
একই সঙ্গে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, মার্চ মাসের শেষে ভাইরাসটি চীন থেকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
লেভিট আরও দাবি করেছেন, বেশিরভাগ মানুষের শরীরে কোভিড-১৯ প্রতিরোধের প্রাকৃতিক ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রথম দিন থেকেই গবেষকরা বলে আসছেন, প্রাণঘাতী এই ভাইরাস আগামী কয়েক মাস বা কয়েক বছর পর্যন্ত থেকে যেতে পারে। এমনকী অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে এই ভাইরাসে। সেখানে এই নোবেলজয়ীই একমাত্র ব্যতিক্রম যিনি বলছেন, এই ভাইরাসের শেষ সময় চলে এসেছে।
লেভিট বলেছেন, আমাদের এখন যা দরকার তা হলো এই মহামারিকে নিয়ন্ত্রণ করা। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলার ব্যবস্থা বা সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেজারমেন্ট গ্রহণ করা৷ তাহলে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তিনি বলেছেন, আমরা ক্রমেই ভালোর দিকে যাচ্ছি।

spot_img

Related articles

মোটা অঙ্কের বাজেট নিয়ে মিনি নিলামে নামছে কেকেআর, দল পেতে পারেন ঈশ্বরণ

মঙ্গলবার আবুধাবিতে ২০২৬ সালের আইপিএলের মিনি নিলাম(IPL Mini Auction)। ৭৭টি জায়গার জন্য নিলামে উঠবেন ৩৫০ ক্রিকেটার। এই ৩৫০...

বাংলা না কি জ্বলছে! গদি মিডিয়ার অপপ্রচারকে ধুয়ে দিলেন সাধু থেকে আমজনতা

বাংলা না কি জ্বলছে! এখানে খুন-জখমের রাজনীতি চলছে! আক্রান্ত হিন্দু! গদি মিডিয়া এই খবর করতে এসেছিল কলকাতায় আর...

রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা! কেন্দ্রের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে লোকসভায় সোচ্চার তৃণমূল

পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে বাগে আনতে না পেরে এবার দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো লঙ্ঘন করে...

মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা! রাজ্যসভায় বিজেপির পর্দাফাঁস সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের

পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মতুয়াকে ভুল বুঝিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করছে মোদি সরকার ও বিজেপি—এমনই অভিযোগ তুলে সোমবার...