করোনা-মৃতের শেষকৃত্যে সাহসী ভূমিকা, ২ কর্মীকে ধন্যবাদ জানালো পুরসভা

সামাজিক দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি৷

কলকাতায় প্রথম এবং একমাত্র করোনা- আক্রান্তের মৃত্যুর পর সেই মরদেহের শেষকৃত্য ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিলো৷ মৃতের পরিবারের সকলেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার কারনে রাজ্য সরকার ওই মরদেহের শেষকৃত্যের দায়িত্ব দেয় কলকাতা পুরসভাকে৷ পুরসভার তরফে নিমতলা মহাশ্মশানে ওই শবদেহের সৎকারের ব্যবস্থা করে৷ কিন্তু মরদেহ মহাশ্মশানে পৌঁছানোর পরই পুরসভারই কিছু সৎকার- কর্মী ও স্থানীয় কিছু বাসিন্দা ওই মহাশ্মশানে বাধার সৃষ্টি করেন অবৈজ্ঞানিক কিছু ভ্রান্ত ধারনার বশবর্তী হয়ে সৎকার-কর্মীরাও দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকার করে৷


ওই সময় যখন এক সামাজিক সংকট তৈরি হচ্ছিলো, তখনই এগিয়ে আসেন নিমতলা মহাশ্মশানের ২ সৎকার- পুরকর্মী মুন্না মল্লিক ও মীনাদেবী মল্লিক৷ করোনা-আক্রান্তের দেহ সৎকার করার কাজে সেদিন এই ২ পুরকর্মী নিজেদের নিয়োজিত করে সাহসিক ভূমিকা পালন করেন৷ এক সামাজিক সংকট থেকে শহর মুক্তি পায় এই ২ পুরকর্মীর জন্যই৷ সেই রাতেই এই দুই কর্মীকে ব্যক্তিগতভাবে পুরস্কৃত করবেন বলে জানিয়েছিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।

প্রতিশ্রুতি মতো ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের তরফে ডেপুটি হেলথ অফিসার ডাঃ বাসুদেব মুখোপাধ্যায় নিমতলা মহাশ্মশানের কর্মী মুন্না মল্লিক ও শ্রীমতী মীনাদেবী মল্লিকের হাতে একটি অভিনন্দনপত্র-সহ ৫ হাজার করে টাকা তুলে দেন৷

Previous articleরাজ্যে করোনা আতঙ্কে আত্মহত্যা! এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য
Next articleসবজি ফেলে লক ডাউনে স্বস্তি দেওয়া যাবে?