কেন্দ্রের তিন প্রধানের ফোন করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের তিন প্রধানের সঙ্গে কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে সহযোগিতা চেয়ে শুক্রবার সকালে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর একে একে ফোন আসে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।
সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অবস্থা এখনও যথেষ্ট গুরুতর। লকডাউনের জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করে ও সমন্বয় রেখে চলতে চায় কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার পাশাপাশি রাজ্যের জন্য বাজেট নিয়ন্ত্রণ আইন শিথিল করার আবেদন জানান মমতা। রাজ্যের এসজিডিপি-র ৫% বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই দাবি পূরণ হলে চলতি আর্থিক বছরে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া যাবে। তার ফলে রাজ্যের আর্থিক সঙ্কট কাটানো সহজ হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, মোদি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ভারতে করোনার প্রকোপ মারাত্মক আকার নিতে পারে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে। এর জেরে এপ্রিলের পরে আরও কিছু দিন লকডাউন করতে পারে কেন্দ্র। এই কারণেই রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় রাখতে চাইছে নয়াদিল্লি।
প্রধানমন্ত্রীর পরেই মমতাকে ফোন করেন জয়শঙ্কর। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি সামলাতে সরাসরি জেলাশাসকদের ফোন না করে বিদেশমন্ত্রী যেন মুখ্যসচিব বা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন।
সবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন অমিত শাহ। লকডাউন প্রসঙ্গে দু’জনের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আন্তর্জাতিক বিমান এবং আন্তঃরাজ্য ট্রেন চলাচল অনেক আগেই বন্ধ করা উচিত ছিল বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান, বিমানবন্দর, সেনা ছাউনি, সীমান্ত নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়। কথা প্রসঙ্গে লকডাউন বাস্তবায়িত করতে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিরাপত্তা দিতে রাজি বলেও মুখ্যমন্ত্রীকে জানান শাহ।