লকডাউনে সবাই গৃহবন্দি। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। এই সময় অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের মতামত সবার সঙ্গে শেয়ার করে নিচ্ছেন। তেমনি একজন মানুষ বিখ্যাত সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। ফেসবুক পেজে ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বলতে গিয়ে, তিনি বলেন, “ভাইরাস আর ভয় অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ভয় মানে তিনি বলতে চেয়েছেন মৃত্যুভয়”। কারোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন কলকাতায় প্লেগ মহামারী হয়ে দেখা দেওয়ার সময়কার কথা। যখন স্বামী বিবেকানন্দ বিদেশ থেকে সিস্টার নিবেদিতাকে এদেশে ডেকে পাঠান এবং সিস্টার নিবেদিতা নিজে গরিব আর্ত মানুষের সেবা করেন। স্বামী বিবেকানন্দের উদ্যোগে তহবিল করা হয়। সেখান থেকেই বেলুড় মঠের সূচনা।

এখন যে পরিস্থিতি সেই সময়ে অন্তরে শক্তিকে জাগ্রত করতে হবে। গৃহবন্দি হয়ে থাকতে গেলে অনেক সময়ই আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু ভারতের প্রাচীন যোগের মাধ্যমে অন্তরের শক্তিকে জাগিয়ে তুলে আমরা মানসিকভাবে সজীব থাকতে পারব। একইসঙ্গে সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের মতে, করোনা মানুষের সঙ্গে মানুষের শারীরিক দূরত্ব বেড়ালেও, তাঁদের একজোট করেছে। একসঙ্গে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শিখিয়েছে। অনেকেই নিজেদের সম্বল দিয়ে দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “নিজেদের আরাধ্য দেবতার উপর বিশ্বাস রেখে যোগসাধনায় অন্তরের শক্তিকে উদ্বুদ্ধ করে এই কঠিন সময়ে আমরা পেরিয়ে যেতে পারব”।
