দিন কয়েক আগে উত্তর ২৪ পরগনায় রাজমিস্ত্রীর কাজে এসে আটকে পড়া ৫২ জন শ্রমিককে ইছাপুর থেকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ।
এবার ভিনরাজ্যে আটকে পড়া বাঙালিদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু ।
বাংলা থেকে বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে বহু মানুষ আটকে পড়েছেন। লকডাউনের জেরে তাঁরা বাংলায় ফিরতে পারছেন না। তাদের চিন্তা করতে না করেছেন পরিবহন মন্ত্রী।
ব্যারাকপুরের সুভাষপল্লীর তিনটি পরিবারের ১০ জন হিমাচল প্রদেশে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন । হোটেল ভাড়া দেওয়ার টাকাও তাদের কাছে নেই । আগামী ৭ দিনের হোটেল ভাড়া বাবদ ২০ হাজার টাকা ইতিমধ্যেই তাঁদের পাঠিয়েছেন শুভেন্দু। নাগপুরে ১ হাজার জনের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন ।
তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সবাই। প্রথমে তাঁর অনুরোধে সাপুরজি–পালনজির পক্ষ থেকে তাঁদের শুকনো খাবার দিয়ে সাহায্য করা হয়। শনিবার থেকে রান্নার গ্যাস, বাসনপত্র, চাল–ডাল দেওয়া হয়েছে। দিল্লির গুরুদোয়ারায় ৩০০ জন আটকে আছেন। তাঁদেরও সবরকম সাহায্যের ব্যবস্থা করেছেন শুভেন্দু । ভেলোরে তিনজনের অস্ত্রোপচার হয়ে গেছে। তিনটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁরা কলকাতায় ফিরছেন। দাঁতন ও পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেকেই ভেলোরে গিয়েছেন চিকিৎসকরা জন্য । নন্দীগ্রামে ১৭টি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান একটি তালিকা তৈরি করেছেন। যাঁরা রাজ্যের বাইরে রয়েছেন, তাঁদের এখন আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তাঁদের কিছু টাকা পাঠানো হচ্ছে। কেরল, মহারাষ্ট্রে কয়েক জন বাঙালি আটকে আছেন, তাঁদের বলা হয়েছে, এখন না ফিরতে। তাঁদেরও সবরকম সাহায্য করছেন শুভেন্দু। লকডাউন চলাকালীন যেভাবে পরিবহন মন্ত্রী সাহায্য করতে উদ্যোগী হয়েছেন তা বেনজির বলে জানিয়েছেন ওয়াকিবহালমহল।
