সুযোগ বুঝে দেশে হামলা চালাতে পারে আইসিস, টার্গেট পুলিশ?

দেশ জুড়ে লকডাউন পরিস্থিতিতে অতন্দ্র প্রহরী পুলিশকর্মীরা। আইন মানাতে কখনও তাঁদের কড়া হতে হচ্ছে। আবার সাধারণ মানুষকে লকডাউনের গুরুত্ব বোঝানোর কাজ করছেন তাঁরা। গৃহবন্দি মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন ওষুধ, খাবার। আবার কখনও গরিব মানুষের মুখে তুলে দিচ্ছেন অন্ন। বাদ যাচ্ছে না পথকুকুররাও। কিন্তু এই পুলিশকর্মীরাই এখন কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আইসিস-এর টার্গেট। অন্তত এমনটাই জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা মহল। পুলিশ ও গোয়েন্দার রিপোর্ট বলছে,অতর্কিতে হামলা চালাতে পারে আইসিস জঙ্গিরা। তাদের নিশানা কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। দেশের সব রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দেশের প্রথম টার্গেট হতে পারে রাজধানী দিল্লি। লকডাউন পরিস্থিতিতে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন রয়েছেন পুলিশকর্মীরা। দিল্লি পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শহরের কোথায় কতজন পুলিশকর্মী দায়িত্বে রয়েছেন তার সব খবরই রয়েছে জঙ্গিদের কাছে। জঙ্গিদের তালিকায় মহারাষ্ট্র ও দক্ষিণের রাজ্যগুলিও রয়েছে। করোনা আতঙ্কের পরিবেশে নজরদারির সামান্য গাফিলতি হলেই হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা।

যদিও নিজেদের সাপ্তাহিক বিজ্ঞপ্তি ‘আল নাবা’ প্রকাশ করে আইসিস জানিয়েছিল, করোনা আক্রান্ত দেশগুলিতে আপাতত হামলা না চালানোরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে কীভাবে জঙ্গিদের সতর্ক থাকতে হবে তার নির্দেশিকাও জারি করেছিল আইএসের সোশ্যাল মিডিয়া সেল। আল্লাহর উপর ভরসা রাখার কথাও বলা হয়েছিল ওই মুখপত্রে। সেইসঙ্গে জঙ্গি শিবিরের মধ্যে কারও শরীর খারাপ হলে ঊর্ধ্বতন কম্যান্ডারকে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মুখপত্র যাই বলুক, গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, লকডাউন পরিস্থিতিতে দেশ যখন স্বাস্থ্য-সুরক্ষার উপর নজর দিয়েছে, তখনই বড়সড় নাশকতা চালানোর চেষ্টা করতে পারে জঙ্গিরা।

Previous articleতৃণমূলকে জবাব দিতেই বিজেপির ত্রাণ বিলি, সাফ কথা দিলীপের
Next articleবেতন ও পেনশনের জন্য প্রয়োজন অর্থ, অনুদান চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী