যে সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছিল সেটাই সত্যি হল। রবিবার রাত নটায় প্রধানমন্ত্রীর দীপ জ্বালো কর্মসূচির মাঝখানে 9টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই ফাটল বাজি। কলকাতা ও আশপাশে বেশ কিছু অঞ্চলে, নামজাদা সব বহুতলে আলো বন্ধ করে দীপ জ্বালানো হয়েছে। তবে এদের প্রজ্জ্বলন অনেক ক্ষেত্রেই দিওয়ালির মালার মত সারিবদ্ধ ভাবে হয়েছে। এমনকী কেউ কেউ দীপ মালায় অনেক কথা লিখেছেন। কিন্তু তারই মধ্যে কাঁকুড়গাছি, লেকটাউন, বাগুইআটি, ভবানীপুর, পার্ক সার্কাস সহ কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে দেদার বাজি ফাটানো হল।
এর আগের দিন যখন প্রধানমন্ত্রী জনতা কার্ফুর দিন হাততালি বা ঘণ্টা বাজাতে বলেছিলেন, তখন দেখা গিয়েছিল বিকেল পাঁচটার সময় রীতিমত থালা বাজাতে বাজাতে, বিউগল নিয়ে রাস্তায় নেমে মিছিল করেছিলেন হুজুগে, উদাসীন জনগণ। এদিন ভয় ছিল মোমবাতি মিছিল হতে পারে। সে ছবি এখনও ক্যামেরায় ধরা না পড়লেও, বাজি ফাটানোর দৃশ্য দেখা গিয়েছে শহর ও শহরতলি জুড়ে। তাহলে কী প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচির আড়ালে লকডাউন ভাঙার অজুহাত খুঁজছেন অনেকে? ভবিষ্যতে কর্মসূচি ঘোষণার আগে এই দিনগুলোর কথা মনে রাখা হবে তো? প্রশ্ন সর্বত্র।