করোনা সংক্রমণ: ঢোকা-বেরনো বন্ধ মুম্বইয়ের ওখার্ড হাসপাতালে

সংক্রমণের জেরে ঢোকা বেরোনো বন্ধ হয়ে গেল মুম্বইয়ের ওখার্ড হাসপাতালে। হাসপাতালের ৩ চিকিৎসক ও ২৬ জন নার্স করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তার জেরে ওই হাসপাতালকে ‘সংক্রামক এলাকা’ ঘোষণা করে হাসপাতালে সবার ঢোকা-বেরনো বন্ধ করে দিল বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। গোটা ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে।

ইতিমধ্যে হাসপাতালের আউটডোর ও এমার্জেন্সি বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রোগী, চিকিৎসক, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মী‌— কাউকেই হাসপাতালে ঢুকতে বা বাইরে বেরোতে দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র ক্যান্টিন খোলা থাকবে। করোনা আক্রান্ত কোনও রোগীর রিপোর্ট দুবার নেগেটিভ এলে তবেই বাইরে বেরোতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুর প্রশাসন।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৭ মার্চে ৭০ বছরের এক করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। তার দিন দু’য়েকের মধ্যেই ওই বৃদ্ধের দেখভালের দায়িত্বে থাকা দুই নার্সেরও কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। অভিযোগ, আক্রান্ত দুই নার্সের সংস্পর্শে আসা বা তাঁদের রুমমেটদের পরীক্ষা বা কোয়রান্টাইনেরর ব্যবস্থা করা হয়নি। ইউনাইটেড নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরও ওই নার্সদের ডিউটি থেকে সরানো হয়নি।

হাসপাতালের মধ্যেই নার্স ও চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ মুম্বই পুর প্রশাসন। অতিরিক্ত পুর কমিশনার সুরেশ কাকানি বলেন, ‘‘ হাসপাতালের মধ্যে এত সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, যা দুর্ভাগ্যজনক। কর্তৃপক্ষের আরও সাবধান হওয়া উচিত ছিল।’’ ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য আধিকারিকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, হাসপাতালের নার্সদের কোয়ার্টার্স রয়েছে ভিলে পার্লে এলাকায়। আক্রান্ত নার্সদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত দুই চিকিৎসককে ভর্তি করা হয়েছে মাহিমের এসএল রাহেজা হাসপাতালে। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য কর্মী মিলিয়ে ২৭০ জনের লালারসের নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য।

Previous articleকবে খুলবে স্কুল কলেজ? জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
Next articleমমতার প্রস্তাবে নোবেলজয়ীর হ্যাঁ