কে কাজ করছেন? বাগযুদ্ধে বাবুল- জিতেন্দ্র

করোনা না পরিস্থিতিতে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছেন শাসক-বিরোধী সব দলের নেতৃত্ব। কিন্তু সবাই সে কথায় কর্ণপাত করছেন কি? সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখলে এ বিষয়ে প্রশ্ন জাগে। পশ্চিম বর্ধমানের খনি অঞ্চল আসানসোল। পুরসভার মেয়র এবং স্থানীয় বিধায়ক রাজ্যের শাসকদলের নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আর এলাকার সাংসদ বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। এই সংকট পরিস্থিতির মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশে কে রয়েছেন? এই নিয়ে রীতিমতো কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই দুই নেতার মধ্যে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি নিজের টুইটার হ্যান্ডেল বাবুল সুপ্রিয়কে কটাক্ষ করেন তিনি লেখেন, “লকডাউনে সবচেয়ে অসুবিধা বোধহয় আমাদের সাংসদ তথা মন্ত্রীরই হয়েছে” এমনকী, বাবুল দু’লক্ষ ভোটে জিতে অহংকারী হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন আসানসোলের মেয়র। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই একের পর এক টুইট করে জিতেন্দ্র তিওয়ারির কথার জবাব দেন বাবুল সুপ্রিয়। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, স্যানিটাইজারে হাত পরিষ্কার হতে পারে, কিন্তু মন পরিষ্কার হয় না। এরপর জিতেন্দ্র তিওয়ারির টুইটার আইডি কেন ‘জিতেন্দ্র টিএমসি’ তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বাবুল। তাঁর কটাক্ষ, জিতেন্দ্র এখনও তৃণমূল নেতা হয়ে রয়েছেন, আসানসোলের মেয়র হতে পারেননি। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আবার ব্যাঙ্গ করে বলেন, “দেশের খবর একটু রাখুন। সংসদ চলছিল। তারপরে লকডাউন হয়েছে। দূর থেকে যা করার সবই করেছি”।

আসানসোল কেন্দ্রটি বরাবরই শাসক-বিরোধীদের টানাপোড়েনের আখড়া। রাজ্যের এবং কেন্দ্রের শাসকদলের প্রতিনিধিরা সেখানে বরাবর থাকেন দুই প্রান্তে। আর তাই নিয়েই সব সময় চলে বাগযুদ্ধ। লকডাউনও সেই প্রক্রিয়ায় ইতি টানতে পারেনি।

Previous articleমাস্ক না পরার ছবি তুলে লাঞ্ছিত সাংবাদিক
Next articleএসব কী হচ্ছে? কুণাল ঘোষের কলম