Sunday, November 16, 2025

বাংলা ও গুজরাতের করোনা-পরিসংখ্যান পাশাপাশি রেখে হোক আলোচনা

Date:

করোনা-সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার কোনও ইঙ্গিত এখনও মেলেনি৷ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিই পাচ্ছে৷ লকডাউন সরে যাওয়ার সময় এগিয়ে আসছে৷ মেয়াদ বৃদ্ধি হবে কি’না তা আগামী সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের ভিডিও- বৈঠকে স্থির হওয়ার কথা৷ গোটা দেশের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক৷

কেন্দ্রের তথ্য বলছে, করোনা-কোপ সর্বাধিক পড়েছে মহারাষ্ট্রে৷ দিল্লিকে সরিয়ে দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছে মোদি-শাহের রাজ্য গুজরাত৷ মধ্যপ্রদেশ,রাজস্থান, তামিলনাড়ু, বিহার, উত্তর প্রদেশ,অন্ধ্রপ্রদেশের পরিস্থিতিও ভালো নয়৷

আর কেন্দ্র এবং বিজেপি হাত ধুয়ে নেমে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের করোনা নিয়ে৷ বিপজ্জনক সীমানা ছুঁয়ে ফেলা ওই সব রাজ্য নিয়ে বিজেপি চিন্তিত নয়৷ বিজেপি’র আইটি সেলকে সরব হতেও দেখা যাচ্ছে না৷ বরং বিজেপিশাসিত একাধিক রাজ্যের থেকে অনেক অনেক ভালো অবস্থায় থাকা এই বাংলা নিয়ে ‘চিন্তা’-র শেষ নেই গেরুয়া শিবিরের৷ এ কেমন রাজনীতি ?

বিজেপির যে যে নেতারা অথবা সাংবিধানিক পদে থাকা লোকজন, আজ বাংলার সরকারের করোনা মোকাবিলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা গুজরাতের করোনা পরিসংখ্যান নিয়ে শব্দ খরচ করতে এত ভয় পাচ্ছেন কেন ? বাংলা ও গুজরাতের পরিসংখ্যান পাশাপাশি রেখে হোক আলোচনা ৷ একই শব্দ না হয় ব্যবহার করা হোক দু’ রাজ্যের করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে ৷

বাংলার মানুষ বিস্ময়ের সঙ্গে দেখছে, এই মহা সংকটকালেও সস্তা রাজনীতিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে৷ বিষয়টি আরও দুর্ভাগ্যজনক হয়ে দাঁড়াচ্ছে যখন রাজ্যবাসী দেখছেন, সাংবিধানিক পদে থাকা লোকজনও কেমন অবলীলায় দলীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে যাচ্ছেন৷ দেশের যে কোন রাজ্যের সাংবিধানিক পদে থাকা লোকজন এই ভয়াবহ সংকটকালে নিজস্ব মতাদর্শ সরিয়ে রেখে নিজের রাজ্যের কথাই ভাবছেন৷ ভাবছেন, কোন পথে তাঁর রাজ্য এই রাক্ষুসে করোনার আগ্রাসন থেকে রক্ষা পাবে৷ এমন ভাবাই স্বাভাবিক৷ অথচ সব রাজ্যে এমন হচ্ছে কোথায় ? রাজ্যবাসীর জীবনের মূল্যের থেকে দলীয় রাজনীতিতে যাদের আগ্রহ বেশি, এই সংকটকালে তাদের মুখোশ একের পর এক খুলে যাচ্ছে৷

আসলে একটা সময়ে বাংলার পারিবারিক কাঠামোয় এক ধরনের ‘বিধবা পিসিমা’র অস্তিত্ব ছিলো৷ তারা সংসারের কুটোটিও সরাতেন না, অথচ, তাদের একমাত্র কাজই ছিলো, নিজের উপস্থিতি জানান দিতে শক্তপোক্ত পরিবারে ভাঙ্গন লাগানো৷
বাংলার দুর্ভাগ্য, এই মহা সংকটের সময় এমন কিছু চরিত্রকে আজ বড্ড বেশি অহেতুক সক্রিয় দেখাচ্ছে৷

করোনা-যুদ্ধের সময় আজ যদি কেন্দ্রের নির্বাচিত সরকারের প্রতিটি পদে সমালোচনা করে, সরকারের কাজের স্পিরিট কোনও রাজনৈতিক দল ধ্বংস করতে চায়, দেশের মানুষ নিশ্চিতভাবেই সেই দলকে ঘৃণার নজরে দেখবে৷

এ বাংলায় কিন্তু সেটাই হচ্ছে, এটা অনেকেই বুঝতে চাইছেন না অথবা বুঝতে পারছেন না৷

এ কোনদিকে যাচ্ছে ?

Related articles

২৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়া-সন্ধ্যায় কৃতী সংবর্ধনা ও এডুকেশন হেলথ কার্ড উদ্বোধন

উত্তর কলকাতার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে রঙিন সাংস্কৃতিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হল সংবর্ধনা ও সমাজসেবামূলক এক...

কলকাতা দর্শন: ডিসেম্বরেই শহর ভ্রমণে নতুন উদ্যোগ! চালু হচ্ছে বিশেষ পর্যটন বাস পরিষেবা

শীতের মৌসুমে কলকাতার পর্যটন শিল্পকে তেজ দিতে নতুন পদক্ষেপ নিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। ডিসেম্বরের শুরু থেকে চালু হতে...

কাপড়ের ব্যবসা করে জীবন কাটাচ্ছেন ধর্ষণের দায়ে জেল খাটা বলিউড নায়ক!

বলিউডের (Bollywood) একসময়ের নামকরা হিরো এখন রিয়েল লাইফে জিরো। 'গ্যাংস্টার'-এর মতো সুপারহিট সিনেমায় অভিনয়ের পর ধর্ষণের দায়ে সাত...

ডিসেম্বরেই সম্পন্ন হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া! এসএসসির তালিকা প্রকাশ হতেই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

কারা ডাক পেলেন একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ইন্টারভিউ তালিকায়, এবার সেই নাম প্রকাশ করল এসএসসি। শনিবার ২০ হাজার নামের এক...
Exit mobile version