Monday, November 10, 2025

ছত্রে ছত্রে তোপ দেগে ১৪ পাতার দ্বিতীয় চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে ৫ পাতার চিঠি দিয়ে এই পত্রযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন৷ সেই ৫ পাতার উত্তরে দু’দফায় মোট ১৯ পাতায় উত্তর দিয়েছেন রাজ্যপাল ৷

বৃহস্পতিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “সাংবিধানিকভাবে ব্যর্থ একজন মুখ্যমন্ত্রী” বলেছিলেন রাজ্যপাল৷

আর শুক্রবার বেলার দিকে দ্বিতীয় চিঠিতে সরাসরি “করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ” বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযুক্ত করলেন রাজ্যপাল।

রাজ্যপালের দ্বিতীয় চিঠিতে মোট ৩৭ অনুচ্ছেদ রয়েছে৷ প্রতিটি অনুচ্ছেদেই কড়া সমালোচনা করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ৷ রাজ্যপাল বলেছেন,

◾করোনা মোকাবিলায় আপনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ।

◾ব্যর্থতা ঢাকতে কৌশলে আপনি দৃষ্টি ঘোরাচ্ছেন।

◾আপনার চিঠিতে অপ্রাসঙ্গিক অজুহাতের কথাই বেশি৷

◾ আপনি নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে চিঠিতে এত অজুহাত দিয়েছেন।

◾মাইক,ঝাঁটা হাতে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে মানায় না৷

◾আপনি আপনার অন্তরাত্মার কথা শুনুন।

◾আপনি আইনের ঊর্ধ্বে নন।

◾সুপ্রিম কোর্টও সেই কথাই বলেছে।

◾আপনি খোলাখুলিভাবে সংখ্যালঘু তোষণ করছেন।

◾আপনাকে নিজামউদ্দিনের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল।

◾আপনি বলেছিলেন এই প্রশ্ন সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন।

◾এই বক্তব্য আমার কাছে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

◾CAA নিয়ে আপনি গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছেন।

◾প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাষ্ট্রসংঘকে।

◾আপনি সংবিধান অবমাননা করেছেন।

◾এই বাংলা বিধানচন্দ্র রায়ের মতো মুখ্যমন্ত্রী দেখেছে।

◾আপনি ওনার মত মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন।

◾এমন মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন যে রাজ্যে রেশন কেলেঙ্কারি হয়না।

◾এমন মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন যে রাজ্যে জনতার টাকা লুঠ হয় না।

◾আপনি করোনা- তথ্য লুকাচ্ছেন।

◾আইসোলেশন ওয়ার্ডের অন্দরে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে সব কিছু ঢাকতে চাইছেন৷

◾আপনার এই ‘কভার আপ’ প্রক্রিয়া খুবই বেদনাদায়ক৷

◾অক্ষম মানুষের স্বার্থে আপনি লড়াইয়ের মুখোমুখি দাঁড়ান৷

◾কেন্দ্রীয় দল এ রাজ্যে কাজ করতে পারছে না।

◾আপনি চিঠিতে আম্বেদকরের কথা বলছেন।

◾ অথচ আপনিই সংবিধানকে অবজ্ঞা করছেন।

◾আপনার এই বক্তব্যের
থেকে বড় পরিহাস আর কিছু হয়না।

◾এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজ্যপাল বা জগদীপ ধনকড়ের লড়াইয়ের সময় নয়৷

◾ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, আমরা দু’জনই সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ৷ আপনি সংবিধান মেনে কাজ করবেন৷ আর আমি সংবাধানের শর্ত যাতে পূরণ হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবো৷

◾আপনি জেনে রাখুন, রাজভবনে আপনার একটি বন্ধু আছে৷

◾যে বন্ধু সাধারন মানুষের কল্যাণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে জানে৷

Related articles

ধর্মীয় বই কিনতে গিয়ে ২ কোটি টাকার প্রতারণার ফাঁদে কলকাতা ইসকন! গ্রেফতার ১ 

ধর্মীয় বই কেনার অর্ডার দিতে গিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার হল কলকাতা ইসকন। অভিযোগ, অর্ডার অনুযায়ী...

বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের সৌজন্যে হারানো পুলিশের চাকরি ফিরে পাচ্ছেন বাবা

কয়েকদিন আগেই আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ(ICC World Cup)  জিতেছে ভারতীয়  মহিলা দল। মেয়েদের সাফল্যে গর্বিত মা-বাবারা। তবে বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের...

গ্যাস-সমস্যায় নিঃশ্বাসের পরীক্ষা: যুগান্তকারী আবিষ্কারে বিশ্বে স্বীকৃতি বাঁকুড়ার চিকিৎসকের

একটি সাধারণ সমস্যা, যাতে জর্জরিত বর্তমান যুবসমাজ থেকে শিশুরা পর্যন্ত। গ্যাস বা গ্যাসট্রাইটিসের মতো সমস্যা নির্ধারণ করার জন্য...

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে বাড়তে পারে আসন সংখ্যা, জানালো এসএসসি 

রাজ্যের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী,...
Exit mobile version