বাড়িতে করোনা রোগীর ‘সন্ধানে’ শহরে পিপিই গ্যাং

প্রতীকী ছবি

পরনে সাদা পিপিই। গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন চারজন।বাকি দুজনের পরনে জলপাই রঙের সেনা পোশাক। পাটুলি উপনগরীর ওই পাড়া তখন ঘুমাচ্ছে। ঘড়ির কাঁটায় রাত পৌনে একটা। এমন সময় কলিং বেলের শব্দে ঘুম ভাঙলো সৌম্যর।

আগন্তুকদের বক্তব্য বাড়িতে করোনা রোগী আছে, বার করে দিতে হবে। নাহলে পুলিশে খবর দেবে তাঁরা। মাঝরাতে এহেন কথা রীতিমত ঘাবড়ে যান সৌম্য। যে বাড়িতে তিনি ছাড়া তার বাড়ির মালিক ও তাঁর ভাই আছেন সেখানে করোনা রোগী খোঁজ করতে আসায় হকচকিয়ে যান তিনি। বাকবিতণ্ডায় ঘুম ভাঙ্গে বাড়ির মালিক সুমিত চৌধুরী ও তাঁর ভাই বিজয় ঘরামির।

বাড়ির মালিক সুমিত চৌধুরী জানান, “আগন্তুকরা জানান তারা হাসপাতাল থেকে এসেছেন। তাদের কাছে খবর আছে এই বাড়িতে করোনা রোগী রয়েছেন। বারবার তারা গেট খোলার জন্য চাপ দিচ্ছিল। গেট না খুললে পুলিশ নিয়ে এসে দরজা ভাঙার হুমকিও দিয়েছে। কিন্তু কেয়ারটেকার সৌম্য গেট খুলতে নারাজ।” ঘটনার দিন রাতে সৌম্য জানিয়ে দেন, সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এত রাতে দরজা খোলা হবে না। একরকম তাঁর জন্যই শেষ রক্ষা হয়েছে বলে বাড়ির মালিকের মত।

Previous articleঅসুস্থ কিম, সুস্থ করতে উত্তর কোরিয়ায় চিকিৎসক পাঠাল চিন
Next articleপুলিশের তাড়া খেয়ে ‘নিখোঁজ’ সাংবাদিক আবার ফিরে এলেন কীভাবে?