Tuesday, November 18, 2025

রাজ্যপাল এটা কী করছেন? এতো সীমাহীন বাড়াবাড়ি, কুণাল ঘোষের কলম

Date:

কুণাল ঘোষ

আবার ট্যুইট!

আবার রাজ্যপাল!

আবার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ!

এটা কী করছেন রাজ্যপাল।
সবকিছুর একটা সীমা থাকা উচিত।

আমি মনে করি তাঁর এই ধরণের কোনো মন্তব্যের উত্তর মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া উচিত না। এর জবাবের বিকল্প উপায় ভাবুক সরকার ও দল।

করোনাযুদ্ধের পদ্ধতিতে সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের মতপার্থক্য হতেই পারে।
তিনি বলেছেন। এনিয়ে একপ্রস্থ তিক্ততা হয়েছে।

আবার?
রাজ্যপাল চাইছেন কী?

রাজ্য সরকারের সব পদক্ষেপই ঠিকঠাক, এমন দাবির সঙ্গে সবাই একমত নাও হতে পারেন।

তিনি রাজ্যপাল।
সরকারকে বলুন, ডাকুন।
পার্থবাবুকে বলুন দরকারে।

সকালবিকেল টুইট সংস্কৃতি কতটা ঠিক?
করোনা ছেড়ে ঝগড়ামূলক খবর শিরোনাম কেন হবে বারবার?

রাজ্যপাল তৃণমূলের যে কোনো সাংসদের টুইটের পাল্টা দেবেন বলেও বসে আছেন!
এটা কি পদটাকে লঘু করে দিচ্ছে না?

এসব করলে রাজ্যপালের কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথাও গুরুত্বহীন হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে তিনি শুধু এইভাবে খবর তৈরিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।

সরকারি কাঠামোতে সমস্যা আছে। কিছু আমলা বা ডাক্তারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সব কটি পদক্ষেপ নিখুঁত থাকতে পারে নি। চিকিৎসা বিভ্রান্তি, রেশনসমস্যা আছে। কিন্তু সেটা বলা হচ্ছে। সমাধানের চেষ্টাও হচ্ছে। রাতারাতি সবটা করা কঠিন।

তবু সমস্যা থাকলে বলতে হবে।
কিন্তু তার এটা পদ্ধতি?
তাহলে তো অন্য রাজ্যের হালের তুলনাও আসবে। তর্ক বাড়বে।

রাজ্যপালকে মুখ্যমন্ত্রীর পাঁচ পাতার চিঠি কৌশলগতভাবে ভুল।
আবার রাজ্যপালের 14 পাতার চিঠির জবাবে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তর না দেওয়া কৌশলগতভাবে ঠিক।

রাজ্য এখন সর্বাত্মকভাবে কাজের চেষ্টা করছে।
তার মধ্যে টুইট? একই আক্রমণ?

কেন্দ্রীয় টিম ঘুরছে।
তাদের আসার পদ্ধতি অসৌজন্যের।
কিন্তু এসে যে একেবারেই কাজ হয় নি, সেটা সবাই একমত হয়ে উপসংহারে যাবেন না।
চাপ এবং পরিদর্শনের কিছু সুফল থাকে।
যদিও রাজ্যের প্রাপ্য আদায়ে তাদের ভূমিকা স্পষ্ট নয়। তাদের রিপোর্টে আর কী কী বড় সুবিধা হবে, জানা নেই।
প্রশাসনের উপর আপাত চাপটুকু ছাড়া।

এখানেও চিঠিবিতর্ক আছে।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেটা আর কিছু না হোক, উপকারী চাপসৃষ্টিকারী। সতর্কতা বাড়ার মত। তাতে বিতর্ক থাকলেও প্রচ্ছন্ন উপকারও আছে।

কিন্তু রাজ্যপালের টুইটবর্ষণ ছেলেমানুষি হয়ে যাচ্ছে।
মনে হচ্ছে তিনি একটি টুইট বা চিঠির অপেক্ষায় আছেন। রাজনীতিসচেতন মানুষ কেন, যে কোন লোকই এতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আচরণের গন্ধ পাবেন।

রাজ্যপাল তাঁর বক্তব্য নিশ্চয়ই বলবেন।
কিন্তু তাঁর পদের গরিমার সঙ্গে মানানসই থাকুক পদ্ধতি।
যখনতখন টুইট সংস্কৃতি এখন বেমানান। এটা চলতে পারে না।

তাঁর কিছু বলার থাকলে সৌজন্যের সঙ্গে বলুন।
রাজ্য একান্তই কথা না শুনলে সাংবিধানিকভাবে ব্যবস্থা নিন।

কিন্তু টুইটে কলতলার ঝগড়ার বিষয়টা আর নেওয়া যাচ্ছে না।

 

Related articles

এনুমারেশন ফর্ম পূরণে হেল্পলাইন চালু হাওড়ায়, সপ্তাহভর সাহায্য মিলবে ভোটারদের 

হাওড়া জেলা নির্বাচনী দফতর সোমবার থেকে শুরু করে ভোটারদের এনুমারেশন ফর্ম পূরণে সহায়তার জন্য দুইটি হেল্পলাইন চালু করেছে।...

স্ত্রীর পরকীয়া সন্দেহে প্রতিবেশীকে কাঁচি দিয়ে আঘাত স্বামীর, হাসপাতালে যুবক 

স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক সন্দেহে প্রতিবেশী এক যুবককে কাঁচি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করল পেশায় দর্জি শেখ শাহরুখ। ঘটনাটি ঘটেছে...

বাগুইআটিতে অ্যাপ ক্যাবে আকস্মিক আগুন, আতঙ্ক এলাকায় 

বাগুইআটি উড়ালপুলের নীচে সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎই আগুন ধরে যায় একটি অ্যাপ ক্যাবে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মুহূর্তের মধ্যেই আগুন দ্রুত...

শীর্ষ আদালতে এসএসসি–র জনস্বার্থ মামলা শুনানি থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার 

স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)–র নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন জনস্বার্থ মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয়...
Exit mobile version