উত্তরপ্রদেশের সাধু হত্যাকাণ্ডে, আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা

১৬ এপ্রিল মহারাষ্ট্রের পালঘরের দুই সাধুকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল। ফের গতকাল একই রকম ঘটনা উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে। ঘুমন্ত অবস্থায় দুই সাধুকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। এবার সাধু হত্যায় মামলায় সরব বিরোধীরা।

পালঘরের সাধু হত্যাকাণ্ডের পর মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে সরকারকে একঘরে করতে চাইছিল বিজেপি। তবে এবারের উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের ঘটনা কি চাপা পড়ে যাবে? সঠিক তদন্ত হবে কি? প্রশ্ন উঠছে। কারণ উত্তরপ্রদেশে রাজত্ব বিজেপি যোগী আদিত্যনাথের সরকারের।

যোগীর রাজ্যে এমন ঘটনার পর কংগ্রেস, শিবসেনা থেকে সমাজবাদী পার্টির দাবি, বিজেপি যেন এই নিয়েও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চেষ্টা না করে। তার বদলে নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা জানানোটাই যোগী সরকারের দায়িত্ব।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী থেকে অখিলেশ যাদবদের আশঙ্কা, বিজেপি ফের মেরুকরণের রাজনীতি শুরু করতে পারে। তাই আগে থেকেই তাতে বাধা দিতে চাইছেন তারা।

প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে বুলন্দশহরের পগোনা গ্রামের একটি শিবমন্দিরে দুই সাধুকে খুন করা হয়। পুলিশ এই ঘটনায় এক স্থানীয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তাতে বুলন্দশহরের এসএসপি সন্তোষ কুমার সিংহ জানিয়েছেন, মুরাই ওরফে রাজু নামের ওই দলিত ব্যক্তিকে সাধুরা তাঁদের চিমটে চুরির অভিযোগ এনে দু-চার কথা শুনিয়েছিলেন। সেই রাগেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাজু তাঁদের ঘুমের মধ্যে খুন করে বলে অভিযোগ। আলিগড়ের ভদেসি আশ্রমের জগৎদাস ও সেবাদাস নামের দুই ওই মন্দিরে থাকতেন।

পালঘরের সাধু-খুনঘটনার পর
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে যোগী আদিত্যনাথ, আলাদা করে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে ফোন করে তদন্তের দাবি তোলেন। ওই সাধুরা বারাণসীর জুনা আখাড়ার সদস্য ছিলেন। প্রভাবশালী এই আখাড়ার ক্ষোভও উদ্ধব সরকারের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। উদ্ধব ঠাকরেকে বলতে হয়েছিল, যে সাধুদের খুনে কোনও মুসলিমের হাত নেই।

এরই পাল্টা সুযোগ পেয়ে উদ্ধব আজ আদিত্যনাথকে ফোন করে দিলেন মনের ক্ষোভ। উদ্ধব জানান, “উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে আমি বলেছি, যে ভাবে আমরা তৎপর হয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছি, আমি চাই, আপনিও তা করবেন এবং একে যেন সাম্প্রদায়িক রং দেওয়ার চেষ্টা না হয়।” শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, “পালঘরের ঘটনাকে যেমন সাম্প্রদায়িক চেহারা দেওয়া হয়েছিল, এ ক্ষেত্রে যেন তা না হয়।” অখিলেশ যাদবেরও দাবি, সাধু-হত্যা নিয়ে যেন কোনও ভাবেই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি না হয়।

যোগীর দফতর জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক, এসএসপি ও উচ্চপদস্থ কর্তাদের ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরো ঘটনা জানা ও দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

Previous articleঋণখেলাপিদের ঋণ মকুব নিয়ে মুখ খুললেন অর্থমন্ত্রী
Next articleপুরীর রথযাত্রা উৎসব বাতিল হতে চলেছে,২৮৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার