হাতেগোনা আর দুদিন পরে দেশ জুড়ে চলা দেড় মাসের লকডাউন হয়ত উঠে যাবে। কারণ, তার মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে এখনও কেন্দ্রের তরফে কোনও নির্দেশ জারি করা হয়নি। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলি করোনা আক্রান্তের নিরিখে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বিজেপি শাসিত কর্ণাটক ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে ৪ মে থেকে তারা সংক্রমণ মুক্ত এলাকায় শপিং মল এবং মদের দোকান খুলে দেবে। ইতিমধ্যেই ইয়েদুরাপ্পা সরকার আইটি সেক্টর, কৃষি ক্ষেত্র ১৫ টি সরকারি বিভাগ-সহ কিছু কিছু শিল্পে ছাড় দিয়েছে। আগামী দিনে সেই ছাড় আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দুটো জায়গা থেকেই সরকারের প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়। সেই কারণেই হয়ত এই সিদ্ধান্ত।

৩ তারিখের পর থেকে হয়ত দেশ জুড়ে আর লকডাউন ঘোষণা করা হবে না। সে ক্ষেত্রে যে জেলাগুলিতে সংক্রমণ রয়েছে, সেগুলিকে আওতার বাইরে রেখে বাকি এলাকায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জনজীবন চালু হবে। কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে আইটি হাব রয়েছে। লকডাউনের জেরে সেখানে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তাতে শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সেই কারণেই সংক্রমিত এলাকা ছাড়া বাকি অঞ্চলে জনজীবন স্বাভাবিক করে দেওয়ার পক্ষেই সরকার। তবে যেসব জায়গাগুলি কনটেনমেন্ট রয়েছে, সেই জায়গাগুলিতে আরও কড়া ভাবে লকডাউন জারি থাকবে। শুধু তাই নয়, সেই এলাকার ব্যক্তি যাতে অন্যান্য কোন অঞ্চলে সংক্রমণ ছড়াতে না পারেন সেদিকেও নজর দেওয়া হবে।
