করোনা মহামারির আবহে মে-দিবসে চাকরি থেকে বরখাস্ত বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশে

শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করে কাজ ও মজুরির অধিকার নিশ্চিত এবং সামাজিক বৈষম্যের অবসানই এবারের মে দিবসের আহ্বান, বলছে বাংলাদেশ  জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন। এই সংগঠনের সভাপতি কামরুল আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন মে দিবসের ১৩৪তম বার্ষিকী ও শ্রমজীবী মানুষের আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে অভিনন্দন জানান। তারা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর হে মার্কেট চত্বরে আত্মত্যাগী মে আন্দোলনের সংগঠক, নেতা, কর্মী ও শ্রমিকদের।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে , ‘মে দিবস হচ্ছে মানুষের হাতে মানুষ শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামের রক্তিম স্মারক। পৃথিবীতে যতদিন শ্রমজীবী মানুষের অস্তিত্ব থাকবে, শ্রেণি শোষণ থাকবে, ততদিন এ দিনটি মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রামের প্রতীক হিসেবেই পালিত হবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এবছর মে দিবস পালন হচ্ছে করোনা ভাইরাস মহামারির অত্যন্ত জটিল ও বিরূপ পরিবেশে। কোভিড-১৯ দেশের শ্রমশক্তির অন্তত সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের জীবনে চরম দুর্দশা বয়ে এনেছে। দীর্ঘদিন কর্মহীন থাকায় তাদের জীবিকার পথ বন্ধ। তাদের ঘরের খাবার ফুরিয়ে গেছে। অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে চলছে লেঅফ, ছাঁটাই ও মজুরি কেটে নেওয়া । অনেক কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের মালিক শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি-বেতন পরিশোধ করছে না। এতে শ্রম অধিকার মারাত্মক হুমকির মুখে। ভালো কাজ, মজুরি ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
নেতারা বলেন, ‘অসংগঠিত খাতের ব্যাপক শ্রমজীবী মানুষ যারা মহামারির কারণে জীবিকা হারিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তাদের পরিবারের জীবন বাঁচাতে খাদ্য ও নগদ আর্থিক সহায়তাসহ তাদের জীবিকার সমাধান করা জরুরি, ভবিষ্যতের স্বার্থে রাষ্ট্রকেই এ দায়িত্ব নিতে হবে। পরিপূর্ণ  ও সঠিক স্বাস্থ্যসেবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে স্বাস্থ্যখাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বেসরকারিকরণ বন্ধ করা, সবার জন্য নিরাপদ ও বিনামূল্যে প্রতিষেধক পাওয়ার সুযোগ, ছাঁটাই ও চাকরি যাওয়া বন্ধ, মজুরির অধিকার, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও সামাজিক বৈষম্য দূর করাই হোক মে দিবসের আহ্বান।’

Previous articleসুখবর! কমলো ভর্তুকিহীন গ্যাসের দাম
Next articleলকডাউনের সময়সীমা বাড়ল, শর্ত কী কী?