‘করোনা ডেথ অডিট কমিটি’ কি হিমঘরে যাচ্ছে? জল্পনা তুঙ্গে

‘করোনা ডেথ অডিট কমিটি’ নিয়ে কি পিছু হঠছে নবান্ন? স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, এখনই হয়তো ওই ডেথ অডিট কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে না। তবে, করোনা মৃত্যু সংক্রান্ত কোনও তথ্য সম্ভবত ডেথ অডিট ওই কমিটির কাছ থেকে আর নেওয়াও হবে না!

সূত্রের খবর, ওই ডেথ অডিট কমিটির কাছে শেষবারের মতো কোনও করোনা- মৃতের তথ্য পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছিলো ৩০ এপ্রিল৷ তার পর গত ২দিন এই কমিটি কোনও মৃতের তথ্য বা বিবরন হাতে পায়নি৷ প্রশাসনিক মহলের খবর, এই কমিটি খাতায় কলমে থাকলেও, কমিটির কার্যত আর অস্তিত্ব নেই৷

করোনা’য় মৃত্যু বলা হলেও কি’না, সেই মৃত্যু সত্যিই করোনা’য় কি’না, তা খতিয়ে দেখার জন্য উচ্চ পর্যায়ের ‘ডেথ অডিট কমিটি’ গঠনের কথা ঘোষণা করা হয়েছিলো নবান্ন থেকেই৷

সেই কমিটির দেওয়া তথ্য
বলতে গিয়েই বিষয়টি পুরোপুরি ঘেঁটে দেন খোদ রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা৷ নবান্নে বসেই সেদিন মুখ্যসচিব এই অডিট কমিটির হিসাব নিয়ে সাংবাদিকদের জানান, “বাংলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় মারা গেছেন ১০৫ জন। তার মধ্যে নিশ্চিতভাবেই করোনাতে মারা গেছেন ৩৩ জন।” এ ধরনের বক্তব্যের জেরে চরমে ওঠে বিতর্ক। এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরই রাজ্যপাল থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি, এমনকী দিল্লি থেকেও বিস্ময়ের সঙ্গে প্রতিবাদ ওঠে৷ মুহুর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া জোয়ার ওঠে ‘মিম’-এর৷ স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়তে থাকে রাজ্য প্রশাসনের উপর৷ এ ধরনের ঘটনায় বিরক্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত বলতে বাধ্য হন, এই অডিট কমিটি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না৷

অসমর্থিত সূত্রের খবর, মুখ্যসচিবসৃষ্ট ওই বিতর্কের পরই প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, এবার থেকে একমাত্র বিশেষ ধরনের জটিল কোনও কেস এলেই ওই কমিটির বিবেচনার জন্য জন্য পাঠানো হবে৷ অন্যান্য ক্ষেত্রে আগের মতোই বিষয়টি দেখবে নবান্ন৷

Previous articleমানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধা ভিক্ষুককে ধর্ষণের চেষ্টা নাতির বয়সী যুবকের! তারপর?
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ