Wednesday, August 27, 2025

আজকাল পত্রিকার জট এখনও কাটে নি। ইউনিয়ন সম্পাদক দেবাশিস দত্ত বৃহস্পতিবার বলেছেন,” এই অন্যায় দমনপীড়ন ও নির্দোষদের শাস্তির প্রক্রিয়া চললে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে আত্মাহুতি ছাড়া পথ থাকবে না। কারণ মুখ্যমন্ত্রী আজকালকে বাঁচাতে অনেক কিছু করছেন। অথচ তিনি জানেন না এখানে কী চলছে। কর্মীরা কীভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন।”

এদিকে আজকাল সম্পাদক অশোক দাশগুপ্ত এই পরিস্থিতিতে ইউনিয়নের ক্ষোভের মুখে পড়া চেয়ারম্যান সত্যম রায়চৌধুরীর পাশে দাঁড়িয়ে একটি কলম লিখেছেন। সেটি শুক্রবার প্রকাশিত হবে। কাগজের মেক আপ শুরু হয়েছে। লেখাটি আমরা এই কপির সঙ্গে তুলে দিলাম। রাতে যদি লেখা বা সিদ্ধান্ত না বদলায়, তাহলে এই লেখাটিই দিনের আলো দেখার কথা। অশোকবাবু এখানে পুরোপুরি সত্যমকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রায় সব কর্মীই কর্তৃপক্ষের পাশে আছেন। সঙ্কটে সাময়িক কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সূত্রের খবর, এখন বেতন কাটা হলেও পরে তা পুষিয়ে দেওয়ার কথা কর্তৃপক্ষ ভাবছেন।
ইউনিয়নের প্রশ্ন, যে অশোকবাবু এত বামপন্থা ও অধিকারের কথা বলতেন, এই সঙ্কটে ইউনিয়নকে ডেকে বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিলেন না কেন? তাছাড়া এই সিদ্ধান্ত এড়ানোর পথও আজকালে ছিল। সেটা এড়িয়ে সঙ্কট দেখিয়ে ফতোয়াবাজি করেছেন সত্যমবাবুর গড়ে দেওয়া কমিটির কেউ কেউ। কর্মীরা এর আগেও বহু সঙ্কটে আজকালকে রক্ষা করে লড়েছেন। তাদের নতুন করে জ্ঞান শোনার দরকার নেই।

ইউনিয়নের বক্তব্য, সম্পাদক অশোক দাশগুপ্ত ব্যক্তিগত কারণে সত্যমকে সমর্থন করছেন।
তবে জানা গেছে, এই অশান্তির পরিবেশ কাটাতে আবার বৈঠকের চেষ্টা চলছে। কর্তৃপক্ষ চান, পোস্টার, বিক্ষোভ বন্ধ থাকুক। ইউনিয়নও চায় সুষ্ঠু সমাধান। কিন্তু মিডিয়ার অ আ ক খ না জানা আমদানিকৃত দুএকজন মাতব্বরের অপটু অদক্ষ অযোগ্য অপরিণত হাতের হামবাগপনায় পরিবেশটা নষ্ট হচ্ছে। জট খুলেও খুলছে না।

ইউনিয়ন সম্পাদক দেবাশিস দত্ত বলেন,” আমরা আদৌ অশান্তি চাই না। চূড়ান্ত অনিয়ম ও বৈষম্যে আমাদের প্রতিবাদে বাধ্য করা হচ্ছে।”

একটি মহলের বক্তব্য, অশোকবাবু যদি কলম ধরার আগে পুরনো কর্মীদের সঙ্গে, ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকে বসতেন, তাহলে ভালো হত। কেন, কোন্ কারণে তাঁকে এতটা এগিয়ে সত্যমকে সমর্থনে কলম ধরতে হচ্ছে, তা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে।

ইউনিয়ন বলছে, টাকার ঘাটতি যদি আদৌ থাকে, তা পূরণে বিকল্প রূপরেখা আমরা পেশ করতে তৈরি।
অন্য সূত্র বলছে, আজকালের সঙ্কটে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন সত্যম। ফলে তাঁর প্রতি আক্রমণ অনুচিত।

অন্য মহলের প্রশ্ন, সত্যম প্রথম নন। যুগে যুগে আজকালের এমন সঙ্কট এলে অনেক বড় নাম পাশে এসেছেন। প্রশ্ন হল সবসময় সরকারের পক্ষে থাকার সুযোগ নিয়েও আজকালের সঙ্কট কাটে না কেন? কোথায় সেই গর্ত, যা দিয়ে সব জল বেরিয়ে যায়? আর তার জন্য কর্মীদের কেন ত্যাগস্বীকার করতে হবে?

 

Related articles

বিরক্ত মিঠুন? এড়াচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির একাধিক কর্মসূচি

বারবার রং বদল করে আপাতত গেরুয়াতে ঠেকেছেন ডিস্কো ড্যান্সার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। ভোটের আগে বা বিজেপির. (BJP)...

আরজি কর কাণ্ডে ভুয়ো প্রচারের অভিযোগ! নোটিশ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া অভয়ার মৃত্যুকে ঘিরে ভুয়ো প্রচার মামলায় নোটিশ ধরাল কলকাতা পুলিশ। পুলিশের...

দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যে ডেঙ্গি-উদ্বেগ! টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে আশঙ্কা 

দুর্গোৎসবের মুখে একদিকে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে ডেঙ্গি সংক্রমণ রাজ্যবাসীর কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে...

মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী! কিনলেন শাড়ি 

বর্ধমানে প্রশাসনিক সভায় এসে হঠাৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মহিলাদের হাতের কাজই ঘুরে দেখলেন না, কেনাকাটাও...
Exit mobile version