‘কেয়ারটেকার’ হিসাবে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ড ৪ সপ্তাহ কাজ চালাবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

হাইকোর্টে ধাক্কা খেলো রাজ্য৷

২৪ ঘন্টা আগে ঘোষণা করা ‘কলকাতা পুরসভার ‘বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর’-কে স্রেফ ‘কেয়ারটেকার’ হিসাবে মাত্র ৪ সপ্তাহের জন্য স্বীকৃতি দিলো কলকাতা হাইকোট৷ চার সপ্তাহ বা এক মাস পর ফের এই মামলা শুনবেন বলে বৃহস্পতিবার শুনানির শেষে জানিয়েছেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার৷

কলকাতা পুরসভার বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষের পর, ৬ মে রাজ্য সরকারের পুর দফতর
‘কলকাতা পুরসভার ‘বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর’ ঘোষণা করে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে৷ এই ‘বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর’ ১৪ জনের, যারা প্রত্যেকেই সদ্য প্রাক্তন পুরবোর্ডের পদাধিকারী৷ এই বোর্ডের চেয়ারপার্সন হিসাবে রাজ্য সরকার বিদায়ী বোর্ডের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নামেই সিলমোহর দেয়৷
বুধবার রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতর এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কলকাতা পুরসভায় ‘বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর’ নিয়োগ করে।

সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন উত্তর কলকাতার বাসিন্দা শরদকুমার সিংহ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাশে বেনজির ভাবে
সন্ধ্যার পর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই মামলার শুনানি হয়৷

মামলার আবেদনকারী শরদকুমার সিংহ তাঁর হলফনামায় এবং সওয়ালে বলেছেন,

◾কলকাতা পুর আইনের কোথাও প্রশাসক নিয়োগের কোনও উল্লেখ নেই। রাজ্য সরকারের নগরোন্নয়ন দফতর কলকাতা পুর আইনের যে ধারাটি উল্লেখ করে প্রশাসক নিয়োগ করেছে, তা নিতান্তই আইনের অপব্যাখ্যা৷

◾ পশ্চিমবঙ্গ পুর আইনে প্রশাসক নিয়োগ করা গেলেও কলকাতা পুর আইনে নেই।

◾প্রশাসকদের বোর্ডে এমন জনপ্রতিনিধিরা
রয়েছেন, যাঁদের মেয়াদ উত্তীর্ণ।

◾তারপরেও কোন আইনে তাঁদের ফের প্রশাসকদের বোর্ডের সদস্য কোন আইনে করা হয়েছে ?

◾নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কী ভাবে নিজেই নিজেকে প্রশাসকদের চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ করলেন?

◾করোনা পরিস্থিতিতে যদি প্রশাসক নিয়োগ করতেই হয়, তবে মেয়াদ শেষ হওয়া জনপ্রতিনিধিদের নিয়োগ না করে সরকারি আমলাদের কেন এই দায়িত্ব দেওয়া হলো না ?

◾কলকাতা পুরসভার পুর কমিশনার একজন শীর্ষ আইএএস। তাঁকে প্রশাসক রাখলে ক্ষতি কী হতো ?

◾সরকারের ওই বিজ্ঞপ্তিকে বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে শরদকুমার সিংহের হলফনামায়৷

এ ধরনের সওয়াল শোনার পরই বিচারপতি তালুকদার রাজ্য সরকার নিযু্ক্ত এই বোর্ডকে ৪ সপ্তাহ কেয়ারটেকার বা তদারকি প্রশাসক হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এক মাস পর ফের এই মামলা শুনবেন বলে বিচারপতি জানিয়েছেন।

Previous articleবাজারগুলিতে ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে চায় রাজ্য, জানালেন মেয়র
Next articleরাজ্যে সচিব পর্যায়ে রদবদল