Wednesday, May 7, 2025

আজকাল নিয়ে জট খোলেনি।

বৃহস্পতিবার রাতে এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদে যে লেখাটির ছবি বেরিয়েছিল, শুক্রবার সম্পাদক অশোক দাশগুপ্তর সেই কলমটি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে অশোকবাবু জানিয়েছেন তিনি চেয়ারম্যান সত্যম রায়চৌধুরীর সঙ্গে আছেন। কলমে মূলত ইউনিয়নের প্রতিবাদীদের দিকে ইঙ্গিত করে সমালোচনা হয়েছে।

শুক্রবার এই কলমের জবাব নিজের ফেস বুকে দিয়েছেন ইউনিয়ন সম্পাদক দেবাশিস দত্ত।
তিনি লিখেছেন,” আজকালের চলতি পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার প্রকাশিত সম্পাদক অশোক দাশগুপ্তর ” সবিনয় নিবেদন ” ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিভ্রান্তিকর এবং সর্বোপরি প্রাতিষ্ঠানিক নয়, ব্যক্তিগত মানসিকতার প্রতিফলন।

১ ) প্রতিবাদী ইউনিয়ন কোনো অশান্তি, আক্রমণ চায়না। কাগজ ও জীবিকা বাঁচাতে চায়। এখানে সত্যম রায় চৌধুরীর জীবনী লেখা হাস্যকর।আমরা তো দুজনের সঙ্গেই বসতে চাই। তা না করে সত্যমবাবুর কিছু লোক, কাগজ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই, এমন কি এই আজকালের ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে মুখ খুলে যিনি শাস্তি পেয়েছিলেন তারাও ম্যানেজমেন্টের তৈরি এক্সিকিউটিভ কমিটি তে ঢুকে আন্দোলনরত কর্মীদের শাস্তি দিতে মাতব্বরি করছে কেন ?

২ ) সম্পাদক পুরোনো কর্মী ও ইউনিয়নের সঙ্গে বসার সময় হয়না। নতুন চেয়ারম্যানের সমর্থনে কলম ধরার সময় হয়। দুর্ভাগ্যজনক পরিবর্তন সম্পাদকের।

৩ ) সম্পাদক লিখেছেন সাময়িক সিদ্ধান্ত। মানবিক সিদ্ধান্ত। তা এতই যদি ভালো তাহলে স্বীকৃত ইউনিয়ন গুলোর সঙ্গে কথা বললে অসুবিধা কোথায় ছিল ? এখন চাপের মুখে সাময়িক বলছেন। সাময়িকের ব্যাখ্যা কি ?

৪ ) সত্যমবাবুর কমিটির বৈধতা কি ? তারা কাগজের কি বোঝেন ? তারা কর্মীদের স্বার্থ ও আবেগকে অপমান করেন কোন সাহসে ? স্বীকৃত ইউনিয়ন কে গুরুত্ব দেবেন না কেন ?

৫ ) অশোকবাবু বলছেন তিনি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন সত্যমবাবুর কাছে। আমাদের প্রশ্ন, যুগে যুগে আজকালের পাশে থাকা মিঠুন চক্রবর্তী, সৌরভ গাঙ্গুলী, সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রসূন মুখোপাধ্যায়, মোস্তাক হোসেন , সমর নাগ,
উজ্জ্বল উপাধ্যায় সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব কি অতীত হয়ে গেলেন ? তাদের পালা শেষ ? কেন যুগে যুগে আজকালে এত টাকা লাগে ? লগ্নি আসে কিন্তু কর্মীদের কাজে লাগেনা। সেই টাকা যায় কোথায় ?

অশোক দাশগুপ্ত শ্রদ্ধেয়। কিন্তু তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিবাদের কন্ঠরোধ করতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। প্রতিবাদ করলেই শাস্তি, এই নীতি প্রত্যাহার করুন।কাগজে নানা জ্ঞান দেওয়া হবে আর নিজের ঘরেই দমনপীড়ন, এই হিটলারি শাসন চলতে পারেনা।

মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সব কাগজ ও সাংবাদিকদের প্রচুর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিছু পরিকল্পনার ভুলে , উচ্চ বেতনে কিছু অকাজের কর্মী নিয়োগ করে আজকালের সর্বনাশ করা হচ্ছে। শেষে করোনা পরিস্থিতি দেখিয়ে সাধারণ কর্মীদের ওপর কোপ দেওয়া হচ্ছে।

আমরা স্বীকৃত ইউনিয়ন। আশা করি অশোকবাবু, সত্যমবাবু প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে আমাদের সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে জট খুলবেন। সঙ্কটমোচনে বিকল্প প্যাকেজ পেশ করতে আমরা প্রস্তুত।

আমরা সহযোগিতায় প্রস্তুত। আশা করব কতৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে মানবিক মুখ গ্রহণ করবেন।”

কর্তৃপক্ষ অবশ্য মনে করছেন তাঁরা বিরোধিতা নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছেন। এবং ব্যাকফুটে যাওয়া ছাড়া ইউনিয়নের কোনো পথ খোলা নেই।

Related articles

মকড্রিলের আগেই শুরু প্রত্যাঘাত, মধ্যরাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের মিসাইল হানা

দেশজুড়ে মকড্রিল শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেই মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) মিসাইল হানা ভারতের। সেনার তরফে এক্স...

সচেতনতায় জোর! রাজ্য জুড়ে পালিত হল বিশ্ব হাঁপানি দিবস

মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পালিত হল বিশ্ব হাঁপানি দিবস। প্রতি বছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার এই দিনটি পালিত...

ভিনরাজ্যে হেনস্থা! বাংলার শ্রমিকদের সুরক্ষায় কেন্দ্রকে চিঠি মুখ্যসচিবের

ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে বারবার হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা। বিষয়টি নিয়ে এবার সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ...

অসুস্থতায় বদলে গেল ট্রেন যাত্রা! জবলপুর যাওয়ার পথে নিখোঁজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

শনিবার রাতে দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশের জবলপুরগামী গন্ডোয়ানা এক্সপ্রেসে সফর করছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জুয়েল ওরাম। কিন্তু রবিবার দামোহ স্টেশনে...
Exit mobile version